মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন নয়, 'মাইনাস টু ফর্মুলা’র জনক ছিলেন ইউনূস!
সেনা-সমর্থিত সরকারকে ভুলভাল বুঝিয়ে শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়াকে মাইনাস করেই ‘রাজ কায়েম’ করতে চেয়েছিলেন ড. ইউনূস। এজন্যই রাজনীতিতে 'মাইনাস টু' ফর্মুলার নতুন কৌশল এনেছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
‘এক-এগারোর’ পটভূমি এলেই সামনে আসে মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের নাম। তবে আড়ালে থেকে কলকাঠি নাড়া ড. ইউনূসের কথা যেন অনেকেই ভুলে গেছেন। অথচ 'মাইনাস টু ফর্মুলা’র অন্তরালের জনকই ছিলেন এই অধ্যাপক, যা অনেকেরই অজানা।
তথ্য বলছে, ইউনূসের নোবেল পাওয়ার বছর না পেরোতেই দেশে শুরু হয় সেনা-সমর্থিত ফখরুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসন। পাল্টে যায় রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ। আর এ সুযোগে ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ বাস্তবায়নে জোর চেষ্টা চালাতে থাকেন ড. ইউনূস। উইকিলিকসের তথ্যানুযায়ী মার্কিন পক্ষকে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন- ‘বেগম জিয়া ও শেখ হাসিনার উপস্থিতি নিজের রাজনীতির জন্য একটি বড় বাধা হিসেবে দেখছেন তিনি। এছাড়া মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকারকেও এই দুই নেত্রীকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
অর্থাৎ সেনা-সমর্থিত সরকারকে ভুলভাল বুঝিয়ে শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়াকে মাইনাস করেই ‘রাজ কায়েম’ করতে চেয়েছিলেন এই অর্থনীতিবিদ। এসবের পেছনে ইউনূসকে শক্তি জুগিয়েছিলেন মার্কিন বন্ধু হিলারি ক্লিনটন। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বল্প মেয়াদ থাকায় শেষমেশ নিজের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেন তিনি।
এ নিয়ে নিজের লেখা ‘শান্তির স্বপ্নে’ বইতে সুস্পষ্টভাবে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ লিখেছেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে বা পাঁচ-দশ বছরের জন্য ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিলেন ড. ইউনূস।’ এজন্যই রাজনীতিতে 'মাইনাস টু' ফর্মুলার নতুন কৌশল এনেছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।