নোবেল জিতে বাংলাদেশকে কি দিয়েছেন ইউনূস?

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:৪৬, শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪, ৯ চৈত্র ১৪৩০

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ২০০৬ সালে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল জয় করেছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক। এই অর্জন নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য গর্বের। কিন্তু ইউনূসের বাক চতুরতার কাছে পর্দার আড়ালেই থেকে গেছে গ্রামীণ ব্যাংক। তবে ড. ইউনূস বাংলাদেশের গ্রামীণ ব্যাংক ও কথিত সেই 'শেয়ার হোল্ডার' তথা হতভাগা দরিদ্র মানুষগুলোকে কেন্দ্র করে নোবেল প্রাইজ জিতে ‘বাংলাদেশকে’ কি দিয়েছেন? তার এই অর্জনে বাংলাদেশের আদৌ কোনো লাভ হয়েছে কি? এমন প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

তথ্য মতে, যে কোন দেশে যখন একজন মানুষ নোবেল পুরস্কার পান তা যে কোন বিষয় হোক, সেই দেশকে তা আলোকিত করতে ভূমিকা রাখে। সেই দেশের তরুণরা উৎসাহিত হয়, তরুণদের সামনে নোবেল জয়ি একজন 'আদর্শ' হন এবং তার নতুন নতুন চিন্তা-গবেষণা এবং বিজ্ঞানমনস্কতা তরুণ সমাজকে আকৃষ্ট করে। একটি সমাজ ঋদ্ধ হয় এবং নতুন সম্ভাবনা ও উদ্দীপনা প্রেরণা পায়। ড. ইউনূস নোবেল পাওয়ার পর বাংলাদেশ কি তেমন কিছু পেয়েছে?

এমন প্রশ্নে বিশ্লেষকরা উদাহরণ হিসেবে প্রতিবেশি ভারতের নোবেল বিজয়ীর কথা উল্লেখ করে বলেছেন,  ‘নোবেল পেয়ে প্রতিচি ফাউন্ডেশন করেছেন অমর্ত্য সেন। নোবেল পাওয়ার পর অমর্ত্য সেনের হাত ধরে হয়েছে অনেক গবেষণা এবং বিজ্ঞান অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে ভারত। কিন্তু বাংলাদেশে শান্তিতে নোবেল পাওয়া ড. ইউনূস তেমন কিছু করেছেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। নোবেল পুরস্কারের টাকাটা তিনি কি করেছেন সেটিও এক প্রশ্নই থেকে গেছে। কেননা বিভিন্ন দেশের নোবেল জয়ীরা 'প্রাইজ মানি' পেয়েই সেটি নিয়ে তাদের পরিকল্পনার বা স্বপ্নের ইচ্ছে কথা প্রকাশ করেন। আর ড. ইউনুস এই টাকা দিয়ে  জনকল্যাণ বা শিক্ষা গবেষণার উদ্যোগ নিয়েছেন এমন কোন তথ্যও পাওয়া যায় না।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘নোবেল পাওয়ার পর ড. ইউনূসকে তীব্র অর্থলিপ্সা পেয়ে বসেছে। বিভিন্ন দেশে বক্তৃতা দিচ্ছেন সামাজিক ব্যবসার নামে। বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে সফলদের তালিকায়ও তার শক্তিশালী অবস্থান। অথচ বাংলাদেশের কোন সংকটে তাকে পাওয়া যায় না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, দেশে বৈশ্বিক কারণে চলছে ডলার সংকট, এর আগে করোনাকালীন তীব্র খাদ্যাভাবে পরেছিলো দরিদ্ররা, এছাড়া বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন উপকূলীয় জনগোষ্ঠী, এসব সংকটে তিনি চাইলেই দেশের মানুষের পাশে দাড়াতে পারতেন। কিন্তু তিনি এসব সংকটে পালন করেন রহস্যময় নিরবতা।’

ড. ইউনূস দেশের তরুণদের জন্য বক্তৃতা দেন না, সব সময় তিনি বিদেশি তরুণদের জন্য উদ্দীপনামূলক বক্তব্য রাখেন।  বাংলাদেশের গণমাধ্যমেও তিনি সাক্ষাৎকার দেন না, যদিও বর্তমানে বিপদে পড়ে বাধ্য হয়ে এখন নিজেই মিডিয়ার কাছে যাচ্ছেন। একজন নোবেল লরিয়েটের কাছ থেকে এটি কাম্য নয়।’

বিদেশিদের অনুপ্রেরণা যোগাতে অধিকাংশ সময় তিনি বিভিন্ন দেশে থাকেন। বিদেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনি আচার্য পদে থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও পদধূলি পড়েনি ড. ইউনূসের। বাস্তবিক পক্ষে বাংলাদেশকে তিনি কিছুই দেননি। কেননা বাংলাদেশ নিয়ে তার অনীহা ও উদাসীনতা যে রয়েছে, তা তার কর্মকান্ডেই স্পষ্ট হয়।

Share This Article


থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান

মরিশাসের মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক

রোববার থেকে খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক

শিশু-কিশোরদের সঙ্গে রাস্তায় ভিজলেন মেয়র আতিক

শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী

বছরে একটি বিসিএস সম্পন্ন করার পরিকল্পনা পিএসসির

৭৬ বছরের রেকর্ড ভাঙলো তাপপ্রবাহ

বাংলাদেশ-ভুটান ৯ম বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত

মাদকের অপব্যবহার বিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী

জলবায়ু অভিযোজনে সহায়তা দ্বিগুণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে