ড. ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋণ ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:০২, শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০২৪, ৮ চৈত্র ১৪৩০

উনিশ শতকে আয়ারল্যান্ডে ক্ষুদ্রঋণের প্রচলন ছিল। সেখান থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশে আশির দশকে  গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য ছোট অংকের ঋণ উদ্ভাবন করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যা ক্ষুদ্র ঋণ হিসেবে পরিচিত।

তবে যে কারণে ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি বেশি পরিচিতি লাভ করে সেটি হলো জামানত বিহীন এবং কিস্তি সুবিধায় ঋণ দান। আর মূলত এখানেই রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি। প্রকৃত সত্য হলো এ দুটি সুবিধা বহু দশক ধরে সুদী মহাজনরা দিয়ে থাকলেও ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋনে  বাস্তবিক অর্থে তা ছিলোনা। বিষয়টি পরিষ্কার করা যাক।

ধনীদের যেমন ব্যাংকের কাছে নিজেদের ‘ঋণ পাবার যোগ্যতা’ প্রমাণ করতে হয়, এই ‘ক্ষুদ্রঋণ’ পেতে গরীব জনগোষ্ঠীকেও যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হয় গ্রামীণ ব্যাংকে।

গ্রামীণের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, প্রথমত, ঋণ প্রত্যাশীর আর্থিক লেনদেনের পূর্ব-ইতিহাস, যা থেকে নির্ধারন করা হয় ঋণ-পরিশোধে প্রার্থির সততা ও নির্ভরযোগ্যতা। দ্বিতীয়ত, ঋণ প্রত্যাশীর আয়ের ধারা ও আইনগত বাধ্যবাধকতা, যা ঋণ আদায়ে ইন্টারফেয়ার করতে পারে। এই হিসেব অনুযায়ী ঋণ প্রার্থী কি পরিমাণ ঋণ পেতে পারে তা নির্ধারণ করা হয়। তৃতীয়ত, ঋণ-প্রত্যাশীর বর্তমান সম্পদ কত পরিমাণ রয়েছে, যা ঋণ-পরিশোধে ব্যর্থ হলে সমন্বয় করতে “ব্যবহার” করা যাবে।

ড. ইউনূসের ‘ক্ষুদ্র ঋণ’ শর্ত মোতাবেক কারা পাচ্ছেন এর ব্যাখ্যায় বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘সংস্থাটির প্রথম শর্তে বলা হয়েছে, ঋণ লেনদেনের পূর্ব-ইতিহাস যাদের ভালো রয়েছে অর্থ্যাৎ সফলভাবে ঋণ পরিশোধ করেছে। দ্বিতীয় শর্তে বলা হয়, ঋণ-প্রার্থীর আয়ের একটা বৈধ উৎস থাকতে হবে, যার আয়ের উৎস আছে সে দারিদ্র জনগোষ্ঠি নয়। তৃতীয় শর্ত হচ্ছে, ঋণ প্রত্যাশীর পুঁজি থাকতে হবে। তবে সেটা বসত-বাড়ি, বিনিয়োগকৃত অর্থ হলেও চলবে। অতএব সব মিলিয়ে বলা যায়, দরিদ্র জনগোষ্ঠী নয়, ইউনুস প্রবর্তিত ক্ষুদ্র ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা রাখে সামর্থবানরাই।’

১৯৯৩ সালের বার্ষিক রিপোর্টে গ্রামীন ব্যাংক বলছে, পূর্ববর্তী বছরে সদস্য ড্রপট-আউট বা ঝরে পড়া সদস্যের হার ছিলো ১৫ শতাংশ। কিন্তু ঋণ পরিশোধের ছিলো ৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ, ড্রপট-আউট হলেও ঋণ ঠিকই আদায় করা হয়েছে। সেটা কিভাবে সম্ভব হয়েছিল? যার জ্বলন্ত উদাহরণ পাওয়া যায় ২০০৭ সালের বাংলাদেশের প্রলংকরী ঘূর্ণীঝড় ‘সিডর’। এই বছরই গবেষণায় দেখা যায়  ‘ক্ষুদ্র ঋণ’ এর মাধ্যমে মাত্র ৭ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার উপরে উঠতে পেরেছে। অথচ সে সময়েও তাদের ঋণ আদায় ছিল ৯৫ শতাংশ। এমনকি সে সময় সরকার সুদ মওকুফের নির্দেশনাও প্রদান করেছিল। ফলে এই সিডর শুধু মানুষের ঘরবাড়ি-ই উড়িয়ে নেয়নি, সেই সাথে ক্ষুদ্রঋণের মহামানবদের ‘গরীবের বন্ধুনামক’ মুখোশটাও উড়িয়ে নিয়ে নগ্ন করে দেখিয়েছে তাদের আসল চেহারা।

এ বিষয়ে প্রখ্যাত সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান বলেছেন, গরীব মানুষের ভাগ্য বদলের লক্ষ্যে ‘ক্ষুদ্র ঋণ’ কার্যক্রম চালু করে ড. ইউনূস। কিন্তু তিনি সামর্থবান লোকদেরকেই এই ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করতেন। এটি তার প্রথম প্রতারণা। আর দ্বিতীয় প্রতারণা হচ্ছে, কেউ ‘ক্ষুদ্র ঋণ’ নেওয়ার পরে তা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তার বাড়ির টিন খুলে নিয়ে তা বিক্রি করে ‘ঋণ’ পরিশোধ করা। অর্থাৎ হিসেব নিকেশের মারপ্যাঁচে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে নিজের অর্থনৈতিক স্বার্থ হাসিল করাই ড. ইউনূসের লক্ষ্য ছিলো, যা ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’ ৷

Share This Article


থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান

মরিশাসের মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক

রোববার থেকে খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক

শিশু-কিশোরদের সঙ্গে রাস্তায় ভিজলেন মেয়র আতিক

শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী

বছরে একটি বিসিএস সম্পন্ন করার পরিকল্পনা পিএসসির

৭৬ বছরের রেকর্ড ভাঙলো তাপপ্রবাহ

বাংলাদেশ-ভুটান ৯ম বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত

মাদকের অপব্যবহার বিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী

জলবায়ু অভিযোজনে সহায়তা দ্বিগুণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে