মানি লন্ডারিং ও শ্রম আইনে মামলা কি শুধু ড. ইউনূসের জন্য?

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:২৬, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪, ৭ চৈত্র ১৪৩০

ড. ইউনূসের আগেও অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি আদালতের রায়ে শাস্তি ভোগ করছেন। তাদের কারো বিষয়েই পশ্চিমা কোনো দেশের কোনো পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন পড়েনি। অথচ ড. ইউনূসকে তারা সব আইন-কানুনের ঊর্ধ্বে মনে করছেন।

শ্রমিক ঠকানোর দায়ে ছয় মাসের দণ্ড কাঁধে নিয়ে ঘুরছেন ড. ইউনূস। আর মানি লন্ডারিং মামলায় আদালতের কাঠগড়ায় এই নোবেলজয়ী। যদিও জামিনে রয়েছেন তিনি। তবে এসব মামলা কি শুধু ইউনূসের জন্যই? জবাবে মিলবে ‘না’। শ্রম আইন লঙ্ঘন কিংবা অর্থ আত্মসাতের অপরাধে এর আগেও অনেকে সাজা পেয়েছেন; যা নিয়ে কারও মাতামাতি নেই।

দুর্নীতি-অর্থপাচারের কারণে এখনও জেল খাটছেন কেউ কেউ। বাদ পড়েননি ক্ষমতাসীন বা প্রভাশালী কোম্পানির মালিকরাও। মানি লন্ডারিং মামলায় ২০২৩ সালের অক্টোবরে ২২ বছরের সাজা পান গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এমডি পিকে হালদার। রেহাই পাননি যুবলীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীমও। ১০ বছরের সশ্রম রায় নিয়ে কারাগারে দিন কাটছে তার। একই মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির পরিচালক রাসেলও দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন।

তথ্য বলছে, ২০১৫ সালের সংশোধিত আইন অনুযায়ী গেল কয়েক বছরে মানি লন্ডারিংয়ের মামলার সংখ্যা বেড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিপর্যায়ে প্রতারণা, বিদেশে অর্থপাচার বা আত্মসাৎ অথবা জালিয়াতির অভিযোগ। আর এসবের তদন্ত করছে দুদক-সিআইডি-এনবিআরসহ পাঁচটি সংস্থা। এরই মধ্যে সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে কিছু মামলার রায় দিয়েছে আদালত।

মানি লন্ডারিংয়ের মতোই বাড়ছে শ্রম আইন লঙ্ঘন। দেশের ১০টি শ্রম আদালতে বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে ২৪ হাজারেরও বেশি মামলা। বেতন-ভাতার পাওনা আদায়, চাকরিতে পুনর্বহাল বা ক্ষতিপূরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে এসব মামলা করেন শ্রমজীবীরা। এর মধ্যে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের ২১৯টি মামলার বিপরীতে রায় হয়েছে ৬৭টির। বাকি সবগুলো রয়েছে শুনানি পর্যায়ে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মানি লন্ডারিং বা শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসের আগেও অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা যেমন হয়েছে, আদালতের রায়ে শাস্তিও ভোগ করছেন অনেকেই। আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কেউ মুক্ত হয়েছেন, কেউবা শাস্তি পেয়েছেন। তাদের কারো বিষয়েই পশ্চিমা কোনো দেশের কোনো পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন পড়েনি। কোনো প্রতিক্রিয়াও দেখায়নি তারা। অথচ নোবেল লরিয়েট হওয়ার কারণে ড. ইউনূসকে তারা সব আইন-কানুনের ঊর্ধ্বে মনে করছেন কেন সেটিই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আইন বিশ্লেষকরা বলছেন, ড. ইউনূসের কর্মকাণ্ডে ভুলভ্রান্তি রয়েছে বলেই শ্রম আইন, মানি লন্ডারিংসহ শতাধিক মামলা হয়েছে। এসবের বেশিরভাগই করেছেন তার অধীনস্থ কর্মীরা। এছাড়া তিনি আইনের ঊর্ধ্বে নয়। দেশের অন্যান্য অভিযুক্তের মতোই তার বিচারকাজ চলছে আদালতে। তবে অপরাধ করলে অপরাধীই হতে হবে। হোক নোবেলজয়ী কিংবা অন্য কেউ।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান

মরিশাসের মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক

রোববার থেকে খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক

শিশু-কিশোরদের সঙ্গে রাস্তায় ভিজলেন মেয়র আতিক

শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী

বছরে একটি বিসিএস সম্পন্ন করার পরিকল্পনা পিএসসির

৭৬ বছরের রেকর্ড ভাঙলো তাপপ্রবাহ

বাংলাদেশ-ভুটান ৯ম বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত

মাদকের অপব্যবহার বিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী

জলবায়ু অভিযোজনে সহায়তা দ্বিগুণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে