বাংলাদেশের জন্য আইএমএফ'র শর্ত শিথিলযোগ্য!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:৩৬, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৩, ১ কার্তিক ১৪৩০
  • মহামারী ও ইউক্রেন যুদ্ধে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয় কমে যায়
  • রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আযয়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় রিজার্ভে টান  
  • সরকারি নানামুখী পদক্ষেপে শীঘ্রই রিজার্ভ আবার বাড়বে
  • আইএমএফ'র শর্ত শিথিলযোগ্য করা হয়েছে 

চলতি বছরের ডিসেম্বর শেষে বাংলাদেশকে অন্তত ২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার নিট বৈদেশিক মুদ্রার মজুত রাখতে হবে বলে শর্ত বেধে দিয়েছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ। কিন্তু বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ ২১ বিলিয়ন ডলারের ঘরে রয়েছে।

অন্যদিকে ঋণের আরেকটি শর্তের মধ্যে রয়েছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় দাম নির্ধারণ করতে হবে। সেটিও পূরণ হয়নি। যদিও অর্থ মন্ত্রণালয় এই শর্তের সময়সীমা আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। ১৬ অক্টোবর পরিদর্শনকারী আইএমএফ প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ অনুরোধ জানানো হয়। এরই মধ্যে সংস্থাটি এই অনুরোধে সম্মতি প্রকাশ করেছে বলে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈশ্বিক সংকটের কারণে বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক প্রতিটি দেশই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসবহুল পণ্য আমদানি কমানো, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনাসহবিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এসব পদক্ষেপের কারণে রিজার্ভ কমা ছাড়া সামষ্টিক অর্থনীতি সঠিক পথেই রয়েছে বলে মনে করে আইএমএফ।

করোনা মহামারী ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেই বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দুটি প্রধান উৎস; রেমিট্যান্স প্রবাহ ও রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। এসব কারণেই রিজার্ভে টান পড়েছে। সরকারি নানামুখী পদক্ষেপে খুব শীঘ্রই রিজার্ভ আবার বাড়বে। ফলে বাংলাদেশের জন্য আইএমএফ'র শর্ত শিথিলযোগ্য করা হয়েছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

Share This Article