সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে হবে: পলক

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:০০, শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪, ৯ চৈত্র ১৪৩০

দেশে ২০০৮ সালে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো এবং ব্যবহারকারী ছিল মাত্র ৭ লাখ। বর্তমানে দেশে ১৩ কোটি ১০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে এবং ৫ হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযুক্তি ডিজিটাল প্রযুক্তি দুনিয়ায় বাংলাদেশের আরও একটি ঐতিহাসিক অর্জন বলে উল্লেখ করেন। 


স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশে সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানিকে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
পরিদর্শনকালে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। ছবি: 


শনিবার (২৩ মার্চ) কুয়াকাটায় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন পরিদর্শনকালে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেন তিনি।


পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট যুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানিকে একটি সময়োপযোগী দক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশে সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ২০০৭ সালে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম ছিল ৮৫ হাজার টাকা। জনগণের নিকট ইন্টারনেটের দাম সাশ্রয়ী করতে তা বর্তমানে মাত্র সর্বনিম্ন ৬০ টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।


পলক বলেন, বিনা মাশুলে ১৯৯২ সালে বাংলাদেশে সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তৎকালীন সরকার বাংলাদেশকে তথ্যপ্রযুক্তি দুনিয়া থেকে পিছিয়ে রাখে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল এবং পরবর্তীতে ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির হাত ধরে বাংলাদেশ কেবল সেই পশ্চাৎপদ অতিক্রমই করেনি, বরং হাওর, দ্বীপ, চরাঞ্চল ও দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলসহ দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড সংযোগ পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে ২০০৮ সালে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো এবং ব্যবহারকারী ছিল মাত্র ৭ লাখ। বর্তমানে দেশে ১৩ কোটি ১০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে এবং ৫ হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযুক্তি ডিজিটাল প্রযুক্তি দুনিয়ায় বাংলাদেশের আরও একটি ঐতিহাসিক অর্জন বলে উল্লেখ করেন। মানুষের স্মার্ট জীবনধারা নিশ্চিত করতে ও প্রতিটি অঞ্চলে নেটওয়ার্ক সুবিধা পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল এবং স্থানীয় কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। পরে কুয়াকাটা টেলিফোন এক্সচেঞ্জ পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী।

Share This Article