টল্যান্ডকে উড়িয়ে নেদারল্যান্ডসের বড় জয়

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:৪০, শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪, ৯ চৈত্র ১৪৩০

শেষ ছয় মিনিটে আরো দুই গোল করেছেন বদলী বেঞ্চ থেকে উঠে আসা ওট ওয়েঘোর্ষ্ট ও ডনিয়েল মালেন। এ নিয়ে শেষ ছয় ম্যাচে ১৮ গোল হজম করলো স্কটিশরা। ছয়টি ম্যাচই জয়বিহীন রয়েছে তারা। এর মধ্যে আবার হেরেছে চারটিতে।

শুক্রবার আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ৪-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করেছে নেদারল্যান্ডস। জুনে ইউরো ২০২৪ প্রস্তুতিকে সামনে রেখে দুই দল একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল। এ যাত্রায় ডাচরাই আধিপত্য দেখিয়েছে।


আমস্টারডামের ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনাতে সফরকারী স্কটল্যান্ডকে দাঁড়াতেই দেয়নি নেদারল্যান্ডস। বিরতির ঠিক আগে টিয়ানি রেইন্ডার্সের দুর পাল্লার শটে এগিয়ে যায় রোনাল্ড কোম্যানের দল।

স্কটল্যান্ডের লরেন্স শানল্যান্ড দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পোস্টে বল লাগালে সমতায় ফেরা হয়নি সফরকারীদের। আর এই মিসের সুযোগ ম্যাচের শেষভাগে নিয়েছে নেদারল্যান্ডস। ৭২ মিনিটে জর্জিনিও উইজনালডাম ব্যবধান দ্বিগুন করেন।

শেষ ছয় মিনিটে আরো দুই গোল করেছেন বদলী বেঞ্চ থেকে উঠে আসা ওট ওয়েঘোর্ষ্ট ও ডনিয়েল মালেন। এ নিয়ে শেষ ছয় ম্যাচে ১৮ গোল হজম করলো স্কটিশরা। ছয়টি ম্যাচই জয়বিহীন রয়েছে তারা। এর মধ্যে আবার হেরেছে চারটিতে।

ইউরো ২০২৪-এ স্বাগতিক জার্মানির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু করবে স্কটল্যান্ড। মঙ্গলবার হ্যাম্পডেন পার্কে নর্দান আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আরেক প্রীতি ম্যাচে এখন ঘুড়ে দাঁড়ানোর লক্ষ্যস্থির করেছে দলটি।

এদিকে নেদারল্যান্ডস ২০১৩ সালের পর এই প্রথমবারের মত টানা চার ম্যাচে জয় তুলে নিল। কোম্যান বলেছেন, ‘আমাদের ভাল ফুটবল খেলাটা জরুরী। বড় ব্যবধানে জয়ী হলেও আমাদের ভুল হয়েছে। জার্মানিতে ভাল করতে হলে আমাদের আরো ভালো খেলতে হবে।’

লিভারপুলের দুই তারকা ভার্জিল ফন ডাইক, কোডি গাকপোর পাশপাশি মূল দলে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড মেমফিস ডিপেকেও রেখেছিলেন কোম্যান। তারকা সমৃদ্ধ দল হওয়া সত্ত্বেও প্রথম সুযোগটি তৈরী করে স্কটিশরাই।

হার্টস স্ট্রাইকার শানল্যান্ডের হেড বারের উপর দিয়ে চলে যায়। বিলি গিলমোরের অ্যাসিস্টে রায়ান ক্রিস্টির শট কর্ণারের মাধ্যমে রক্ষা করেন নেদারল্যান্ডস গোলরক্ষক ফ্লেকেন।

৪০ মিনিটে এসি মিলান মিডফিল্ডার রেইন্ডার্স গাকপোর কাছ থেকে বল নিয়ে প্রথম সুযোগে স্কটিশ গোলরক্ষক অ্যানগাস গুনকে পরাস্ত করেন। এটি রেইন্ডাসের প্রথম আন্তর্জাতিক গোল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ডিপ্রে একটি শট রুখে দেন গুন। জন ম্যাকগিনের শট সেভ করেন ফ্লেকেন। ম্যাকগ্রিনের ক্রসে ক্রিস্টির হেড অল্পের জন্য গোলের ঠিকানা খুঁজে পায়নি। গাকপোর ২০ গজ দুরের শট কোনমতে রক্ষা করেন গুন।

ফ্লেকেনকে একা পেয়েও পরাস্ত করতে পারেননি শানল্যান্ড। আর এতে টাচলাইনে ক্লার্কের হতাশা আরো বেড়েছে। ৭২ মিনিটে গাকপোর ক্রস থেকে পোস্টের খুব কাছে থেকে বল জালে জড়িয়ে ব্যাবধান দ্বিগুন করে নেদারল্যান্ডস।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক স্ট্রাইকার ওয়েঘর্স্ট ম্যাচ শেষের ৬ মিনিটর আগে ও মালেন দুই মিনিট পর স্কটল্যান্ডের পরাজয়ের ব্যবধান বাড়িয়েছেন।

Share This Article