আমদানির খবরে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমে অর্ধেক

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১১:৩৫, বুধবার, ২০ মার্চ, ২০২৪, ৬ চৈত্র ১৪৩০

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যবসায়ীদের যখন মন চাইল দাম বাড়াল, আবার যখন মন চেয়েছে তখন দাম কমাচ্ছে। এতেই প্রমাণ হয় দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজারে সরকারের আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। পাশাপাশি বাজার মনিটরিং আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে এবং ভারতে পেঁয়াজ সংকট দেখা দেওয়ায় ডিসেম্বর মাসের পরবর্তী তিন মাস (৩১ মার্চ পর্যন্ত) বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয় দেশটি। এরপর বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। রমজান শুরুর আগে আরেক দফা দাম বাড়ে পণ্যটির। কিন্তু হঠাৎ পেঁয়াজের দাম কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে।

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মজুত বৃদ্ধি বা অন্য কারণে নয়, শুধুমাত্র ভারত থেকে আমদানির খবরে মাত্র দুই দিনে অর্ধেকে নেমে এসেছে পেঁয়াজের দাম। আমদানির খবরে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী তাদের অবৈধভাবে মজুত করা পেঁয়াজ বাজারে ছাড়তে শুরু করেছে। এতে পাইকারি মোকামে পেঁয়াজের দাম মনপ্রতি ১৪০০ টাকা কমেছে। এর প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে। তিন দিন আগে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ১১০ টাকায় বিক্রি হলেও রাজধানীর খুচরা বাজারে এখন ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যবসায়ীদের যখন মন চাইল দাম বাড়াল, আবার যখন মন চেয়েছে তখন দাম কমাচ্ছে। এতেই প্রমাণ হয় দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজারে সরকারের আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। পাশাপাশি বাজার মনিটরিং আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

সোমবার (১৮ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, ঢাকাকে দেওয়ার জন্য ভারতের কৃষকদের থেকে পেঁয়াজ কিনেছেন। প্রতি কেজি এই পেঁয়াজের দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা। এছাড়া শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আগামী সপ্তাহে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে আসবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই দুই কারণে মূলত ব্যবসায়ীরা গোদাম খালি করা শুরু করেন। বাড়তি মুনাফার আশায় যারা এতদিন অবৈধভাবে মজুত করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে তারা মূল্য কমিয়ে বাজারে ছাড়তে থাকে। পাশাপাশি কৃষক পর্যায় থেকেও পণ্যটি বাজারে আসায় কমতে থাকে দাম।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, রাজধানীসহ সারা দেশে যেসব স্থান থেকে  পেঁয়াজ আসে সেখানকার কিছু ব্যবসায়ী রোজায় বাড়তি মুনাফা করতে পণ্যটি মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। মোকাম পর্যায়ে বাড়ায় দাম। ফলে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি ছিল। ইতোমধ্যে কৃষকের পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে। পাশাপাশি ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার খবরে অসাধু ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ বাজারে ছেড়েছে। তাই দাম কমছে। এর পরও সেই চক্র বাড়তি দম ধরেই মুনাফা করছে। কারণ এ সময় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়।

কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পেঁয়াজ আসছে। সেজন্য পণ্যটির দাম কমেছে। কয়েক অল্প লাভেই আমরা বিক্রি করছি। গত সপ্তাহে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। এখন তা ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করছি।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article