পশ্চিমবঙ্গে কনডমের নেশায় তরুণরা

নতুন এক মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরের তরুণরা। এই মাদক তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে জন্মনিরোধক কনডম। আর এতে কিছু এলাকায় কনডমের চাহিদাও বেড়েছে হঠাৎ।
দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকার যেখানে দিনে ২০-২৫ প্যাকেট কনডম বিক্রি হতো, বর্তমানে সেখানে দৈনিক ৩০০-৪০০ প্যাকেট কনডম বিক্রি হচ্ছে। ইস্পাতনগরীর সিটি সেন্টার, বিধাননগর, চন্ডিদাস, বেনাচিতি, মুচিপাড়া, সি-জোন ও এ-জোনে একণ কনডম বিক্রি বেড়েছে। হঠাৎ কনডমের চাহিদা বাড়ার বিষয়ে খোঁজ করতে গিয়েই স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি টের পায়।
দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল সুপার ধীমান মণ্ডল বলছেন, কনডমের প্যাকেটে থাকা রাসায়নিক পদার্থকে বিশেষ এক কায়দায় মাদকে পরিণত করা হয়। যে মাদক সেবন করলে মোটামুটি ১০-১২ ঘণ্টা নেশায় বুদ হয়ে থাকা যায়।
দুর্গাপুর আরই কলেজ মডেল স্কুলের রসায়নের শিক্ষক নুরুল হকও জানিয়েছেন, কনডম থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় নতুন এক রাসায়নিকের সৃষ্টি করা যায়। যা সেবনে নেশার উদ্রেক হয়।
নেশার দুনিয়ায় এমন নতুনত্ব অবশ্য এবারই প্রথম নয়। স্রেফ নেশার কারণেই নাইজেরিয়ায় একসময় টুথপেস্ট ও জুতার কালির চাহিদা বেড়ে গিয়েছিল ৬ গুণ। এমনকি চুলের ক্রিম ও ফেসওয়াশ দিয়েও নেশা করার নজির রয়েছে।