গুজব কাটিয়ে ব্যাংকে আস্থা ফিরেছে সাধারণ মানুষের

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:১৬, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১৮ মাঘ ১৪২৯

আসন্ন রমজানে প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অগ্রণী, জনতা, সোনালী ও রূপালী এই চার ব্যাংক সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে।

সাম্প্রতিক সময়ে মানুষের আর্থ-সামাজিক কার্যক্রমে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে গুজব। গুজবের কষাঘাতে সাময়িকভাবে পিষ্ট হয়েছিল দেশের ব্যাংক খাতও। তবে আশার বাণী হলো সরকারের তড়িৎ পদক্ষেপ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা 'বাংলাদেশ ব্যাংক'র নিবিড় তদারকিতে মানুষের মধ্যে যে আতঙ্ক তৈরি করেছিল, তা অনেকটাই কেটে গেছে।

বৈধ পথে রেমিট্যান্স আনতে বিভিন্ন শর্ত শিথিল, চার্জ-ফি মওকুফ, নগদ প্রণোদনা, সিআইপি সম্মাননা দেওয়ার পাশাপাশি রেমিট্যান্স বিতরণ প্রক্রিয়া সহজ ও সম্প্রসারণে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ণ অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

এসব কারণে নতুন বছরে ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে রেমিট্যান্স। জানুয়ারির ২৭ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৬৭ কোটি ডলার বা প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতিদিন আসছে ৬ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স।

২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে অধিকাংশ ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা বেড়েছে। তথ্যমতে, ২০২২ সাল শেষে ১২টি ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে ১ হাজার ২৩২ কোটি টাকা। এসব ব্যাংকের মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা। আগের বছরে মুনাফার পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৫১২ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বরে ব্যাংকিং খাতে আমানত বেড়েছে ১৮ হাজার ৯৮২ কোটি  টাকা। শতকরা হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০. ৯৪ শতাংশ। ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে আমানত প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

সূত্রমতে আসন্ন রমজানে প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অগ্রণী, জনতা, সোনালী ও রূপালী এই চার ব্যাংক সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা মহামারি ও গুজবের ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের আর্থিক খাতের প্রধান চালিকাশক্তি ব্যাংক। প্রবাসী আয় ও পণ্য রপ্তানিও বেড়েছে। উন্নতি হচ্ছে ডলার পরিস্থিতির। ফলে নিত্যপণ্য আমদানিতে কোনো সমস্যা আর হবে না।

Share This Article