২০৪১ সালের মধ্যে দেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে : তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের সবার অংশগ্রহণের পাশাপাশি জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। সবাই মিলে একসাথে ডেঙ্গুসহ অন্য সব প্রতিরোধযোগ্য রোগ মোকাবেলায় কাজ করতে হবে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে সবার আরো সচেতন হতে হবে। ’
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ‘মেয়র সংলাপ : নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জসমূহ ও উত্তরণের উপায়' শীর্ষক সেমিনারে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব সিটি করপোরেশন তাদের অবস্থান থেকে প্রচলিত কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। অন্য বছরে বৃষ্টি শেষে হলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উন্নত হতো। এ বছরের অভিজ্ঞতা ব্যতিক্রম মনে হচ্ছে। তাই কিছুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের গবেষণাপত্র পর্যালোচনা করা ও বাংলাদেশি কীটতত্ত্ববিদদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। ’
‘স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে’ উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। সরকার সে লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ করছে। স্বাস্থ্য খাতে সেবার মান আরো উন্নত করতে হবে। নগর স্বাস্থ্যের পাশাপাশি দেশব্যাপী আমাদের স্বাস্থ্যসেবা কার্যকর করে গড়ে তুলতে হবে। ’ তিনি স্থানীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার সকল সুযোগ-সুবিধা পৌঁছনোর আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস এবং সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম।
মতবিনিময়সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা, ইউএস সিডিসির কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. সুসান কায়ডোস ডেনিয়েলস, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অনো ভ্যান ম্যানেন, সেফটিনেট বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড, দেশের শীর্ষস্থানীয় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরাসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।