ছোটবেলায় দিনে ২টি রোজা রাখতাম: সূচনা আজাদ

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:৩৫, শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪, ৯ চৈত্র ১৪৩০

চলতি সময়ের গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী সূচনা আজাদ। সাইফ চন্দনের ‘আব্বাস’ ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় পা রাখেন তিনি। সর্বশেষ মুক্তি পেয়েছে অঞ্জন আইচের ‘আগামীকাল’। মুক্তির অপেক্ষায় আছে একই পরিচালকের ‘কানামাছি’। তবে, সূচনা ব্যস্ত আছেন তার প্রোডাকশন হাউজ ‘পার্পল রে’ নিয়ে। রমজান ও ঈদ নিয়ে আলাপ হলো তার সঙ্গে।

কথা প্রসঙ্গে সূচনা জানালেন তিনি নিজে ইফতার তৈরী করেন। তিনি বলেন, আমি নিজ হাতে ইফতার বানাতে পছন্দ করি। শরবত থেকে শুরু করে বেগুনি, পেঁয়াজু, সবজির চপ, কোপ্তা সবকিছু। টেবিলে প্লেটে এসব সাজিয়ে পরিবেশন করতে বেশ ভালো লাগে।

তিনি যোগ করলেন, আমি ঝাল আর মিষ্টি একসঙ্গে খাই শুনে অনেকে হাসে।

ইফতার নিজে তৈরী করলেও সেহরিতে সে সময় হয় না সূচনার। তিনি বলেন, সেহরিতে মা, বোন, ভাইরা একেকজন একেক খাবার খায়। আমি হালকা খাবার পছন্দ করি। দুধ, কলা, ভাতের সঙ্গে হালকা কিছু। ভারী খাবার খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হবে বলে সেগুলো এড়িয়ে চলি।

রোজার স্মৃতি প্রসঙ্গে সূচনা বলেন, তখন শীতকালে রোজা হতো। আম্মু রোজা রাখতে দিতো না। আমিও জেগে থাকতাম সেহরি খাওয়ার জন্য। আম্মু বলতো ছোটরা দিনে ২টা রোজা রাখতে পারে খেয়েদেয়ে। তাই করতাম।

সূচনা ঈদের পোশাক নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে মজা করতেন, আব্বু ঢাকা থেকে ঈদের ড্রেস নিয়ে যেত। বন্ধুদের বলতাম, তোমাদেরটা দেখি তারপর আমারটা দেখাব। তারা দেখালেও আমি দেখাতাম না। কোনও একটা এক্সকিউজ দিতাম। মনে মনে ভাবতাম, আমার ড্রেসটাই সেরা। আরেকটি মজার স্মৃতি আছে। আমার এক কাজিনসহ ঈদে বড়দের পায়ের দিকে নজর রাখতাম। কে বেশি সালামি পায় সে প্রতিযোগিতা হতো। এখন সালামি দিই। এটা বেশি ভালো লাগে। ঈদের উপহারও তাই। ছোটবেলায় অনেক উপহার পেতাম। এখন দিতে ভালো লাগে। রোজার আগে থেকেই মাথায় থাকে কাকে কী উপহার দিব।

সূচনা ঈদ বরাবরই গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জে উদযাপন করেন। এবারও তাই করবেন। তিনি বলেন, ঈদে দেশের বাড়ি যাই। আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটাই। ঈদের দিন অতিথিদের নিজ হাতে খাবার পরিবেশন করতে বেশ ভালো লাগে। ঈদের দিন সকালে হালকা সাজ থাকবে। বিকেলে বা সন্ধ্যায় গর্জিয়াস সাজ। সকালে হালকা রঙের ড্রেস পরবো। আর বের হবার সময় গর্জিয়াস ড্রেস।

বিষয়ঃ তারকা

Share This Article