পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধে ইউনূসের ভূমিকার প্রমান আছে কি?

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ০৯:৫৫, শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০২৪, ৮ চৈত্র ১৪৩০

পদ্মাসেতু প্রকল্পে যখন কোনো ঋণই ছাড় হলো না, সেখানে দুর্নীতি হয় কিভাবে? এ নিয়ে কৌতুহল জাগে সর্বমহলে। কিন্তু কোন অদৃশ্য বলে ঋণ দেয়া স্থগিত করেছিল সংস্থাটি? এ ধরনের প্রশ্ন সামনে এলেই আসে ড. ইউনূসের নাম। অভিযোগ আরও পোক্ত হয়  যখন বিশ্বব্যাংক উক্ত ঋণের টাকা ছাড়ের সাথে ড. ইউনুসের গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে পুনঃনিয়োগের শর্ত জুড়ে দেয়। এতেই স্পষ্ট হয় , আসলে দুর্নীতি-তুর্নীতি কিছু নয়,  ড. ইউনুসকে গ্রামীণ ব্যাংকের পদ থেকে সরানোর প্রতিশোধ হিসেবেই পশ্চিমা মিত্রদের কাজে লাগিয়ে পদ্মাসেতুর অর্থায়ন বন্ধে বিশ্বব্যাংকে কাল্পনিক দূর্নীতির গল্প ফাঁদতে বাধ্য করে ইউনুস- হিলারীগং ।

সালটি ২০১২। সম্ভাব্য দুর্নীতি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নির্মাণ প্রকল্পের অর্থায়ন আটকে দিয়েছিল বিশ্ব ব‌্যাংক।

কিন্তু সাথে সাথেই প্রশ্ন ওঠে পদ্মাসেতু প্রকল্পে যখন কোনো ঋণই ছাড় হলো না, সেখানে দুর্নীতি হয় কিভাবে? এ নিয়ে কৌতুহল জাগে সর্বমহলে। কিন্তু কোন অদৃশ্য বলে ঋণ দেয়া স্থগিত করেছিল সংস্থাটি? এ ধরনের প্রশ্ন সামনে এলেই আসে ড. ইউনূসের নাম।

অভিযোগ রয়েছে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধে আড়াল থেকে সকল কলকাঠিই নেড়েছেন শান্তিতে  নোবেলজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনুস। আবার প্রশ্ন এসে যায়, অর্থায়ন বন্ধে ইউনূসের ভূমিকার কি প্রমাণ আছে? 
উত্তর মেলাতে যেতে হবে পেছনে।

২০১১ সালে বয়সসীমা অতিক্রান্ত হওয়ার কারণ দেখিয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা এমডি ইউনূসকে তার পদ থেকে পদত্যাগে অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক। পদত্যাগ না করে আদালতে গিয়েও বিফল হন তিনি। ৩০ বছরেরও বেশী সময় ধরে পদে আঁকড়ে থাকা ড. ইউনুসকে ছাড়তে হয় এমডি পদ।

এরপর থেকেই ড. ইউনুস তার পশ্চিমা বন্ধুদের কাছে নালিশ করেন, প্রতিকার চাইতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে। আর পশ্চিমারাও তাদের তাবেদার ড. ইউনুসকে নিয়ে সরকারের সাথে প্রথমে অদৃশ্য ও পরে দৃশ্যমান স্নায়ুযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এবং গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি হিসেবে ড. ইউনুসকে পুনর্বহালের জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। 
 

এ নিয়ে তৎকালিন বাংলাদেশে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত মাজীনা ড. ইউনুসের পক্ষে প্রকাশ্যে দূতিয়ালী শুরু করেন । পরবর্তীতে সেই সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটনও সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন, এমনকি সেসময় ইউনূসকে পুনর্বহালের অনুরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোনও করেন তিনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাঁর কথায় সায় দেননি। ক্ষুব্ধ হন হিলারী।

এর মধ্যেই নির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়া পদ্মাসেতু প্রকল্পে বায়বীয় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ঋণ মঞ্জুর স্থগিত করে দেয় বিশ্বব্যাংক। এরপরই পদ্মাসেতু নির্মাণচুক্তি স্থগিত প্রশ্নে দেশবিরোধী চক্রের অপতৎপরতার কথা প্রকাশ পেতে থাকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে।  তখন অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ড. ইউনূসের সংশ্লিষ্টতার কথাও।

বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়, যখন বিশ্বব্যাংক উক্ত ঋণের টাকা ছাড়ের সাথে ড. ইউনুসের গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে পুনঃনিয়োগের শর্ত জুড়ে দেয়। এতেই স্পষ্ট হয় , আসলে দুর্নীতি-তুর্নীতি কিছু নয়,  ড. ইউনুসকে গ্রামীণ ব্যাংকের পদ থেকে সরানোর প্রতিশোধ হিসেবেই পশ্চিমা মিত্রদের কাজে লাগিয়ে পদ্মাসেতুর অর্থায়ন বন্ধে বিশ্বব্যাংকে কাল্পনিক দূর্নীতির গল্প ফাঁদতে বাধ্য করে ইউনুস- হিলারীগং ।

Share This Article


বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের সুযোগ রয়েছে

মধুখালীতে সহোদর হত্যা : বিএনপি-জামায়াত-হেফাজতের উস্কানিতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত!

দুপুরের মধ্যে সিলেট বিভাগে ঝড়-বৃষ্টির আভাস

থাইল্যান্ডের রাজা-রানির রাজকীয় অতিথি শেখ হাসিনা

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট চলছে

ওমরাহ পালনে সৌদির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন পাটমন্ত্রী

রিকশা থেকে নেমে বসে পড়েন, পেট ধরে শুয়ে ফুটপাতেই গেলো প্রাণ

শপথ নিলেন আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া তিন বিচারপতি

বিশ্বব্যাপী সব যুদ্ধ বন্ধের উদাত্ত আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

পাট শিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে

২০২৮-এ বাংলাদেশ হবে ১৯তম অর্থনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দ্বিমুখী নীতির অভিযোগ তুরস্কের