ইফতার ও সেহরির সময় নিয়ে হাদিসে যে নির্দেশনা এসেছে

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:২১, বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০২৪, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩০

ইফতার করার ক্ষেত্রে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশনা হলো- ইফতারে বিলম্ব করা যাবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মানুষ যত দিন পর্যন্ত সময় হওয়ামাত্র ইফতার করবে, তত দিন কল্যাণের সঙ্গে থাকবে।’ (বুখারি, হাদিস, ২৮৫২)

মুসলিম সমাজে সেহরি খেয়ে রোজা শুরু এবং ইফতার করে রোজা শেষ করার প্রচলন রয়েছে। রোজার জন্য সেহরি ও ইফতার খাওয়া সুন্নত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ। একটি আনন্দ হচ্ছে যখন সে ইফতার করে। আরেকটি হচ্ছে যখন সে প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।’ (তিরমিজি, হাদিস, ৭৬৬)

ইফতার করার ক্ষেত্রে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশনা হলো- ইফতারে বিলম্ব করা যাবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মানুষ যত দিন পর্যন্ত সময় হওয়ামাত্র ইফতার করবে, তত দিন কল্যাণের সঙ্গে থাকবে।’ (বুখারি, হাদিস, ২৮৫২)

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম নিজেও জলদি ইফতার করতেন। আবূ আত্বিয়াহ বলেন, আমি ও মাসরূক আয়েশা রা.-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, ‘হে উম্মুল মুমেনীন! মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর সাহাবিদের মধ্যে একজন (সময় হওয়া মাত্র) তাড়াতাড়ি ইফতার করে ও তাড়াতাড়ি নামাজ পড়ে এবং অপর একজন দেরি করে ইফতার করে ও দেরি করে নামাজ পড়ে।’ তিনি বললেন, ‘ওদের মধ্যে কে তাড়াতাড়ি ইফতার করে ও তাড়াতাড়ি নামাজ পড়ে?’ আমরা বললাম, ‘আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ।’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ রকমই (তাড়াতাড়ি ইফতার ও নামায আদায়) করতেন।’  (মুসলিম, হাদিস, ১০৯৯)

ইফতারের মতো সেহরিও গুরুত্বপূর্ণ। রাসূল সা. আরও বলেছেন,‘আহলে কিতাব তথা ইহুদি-খ্রিস্টান আর মুসলমানদের রোজার মধ্যে শুধু সাহরি খাওয়াই পার্থক্য। অর্থাৎ তারা সাহরি খায় না আর আমরা সাহরি খাই।’ (মুসলিম, হাদিস, ১৮৪৩; তিরমিজি, হাদিস, ৬৪২)

অপর হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা সাহরি খাও, কারণ সেহরিতে বরকত আছে।’ (বুখারি, হাদিস, ১৯২৩)

ইফতার সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে করতে বলা হলেও সেহরি কিছুটা দেরিতে করার কথা বলা হয়েছে হাদিসে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তিনটি কাজ নবুয়তের আদর্শের অন্তর্ভুক্ত; জলদি ইফতার করা, দেরি করে (শেষ সময়ে) সেহরি খাওয়া এবং নামাজে ডান হাতকে বাম হাতের উপর রাখা। (তাবারানী, মুজাম, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ২/১০৫)

Share This Article