'দান' নিয়ে ড. ইউনূসের তুঘলকি কাণ্ড!
- বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
- শুনানিতে উঠে আসে এক বিচিত্র তথ্য
- ২০১৫ সাল থেকেই মৃত্যু ভয় তাড়া করছে ড. ইউনূসকে
- শাস্তি হিসেবে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডসহ আর্থিক জরিমানা
বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের প্রতিষ্ঠানের অর্থ নিজেকেই দান করেছেন, আর যুক্তি হিসেবে তুলে ধরেছেন মৃত্যুর ভয়। এই তথ্য তিনি হাইকোর্টে স্বীকারও করেছেন।
ড. ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীন টেলিকম নামের এই দুইটি প্রতিষ্ঠানের ১১ হাজার কোটি টাকার কর ফাঁকির মামলা যখন হাইকোর্টে চূড়ান্ত শুনানির অপেক্ষায় ঠিক সে সময়ে হাইকোর্টে ১৭ মে তার নিজের আয়কর গড়মিলের মামলার শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে উঠে আসে এমন বিচিত্র তথ্য। এরপর নতুন করে আলোচনায় আসেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস।
২০১৫ সালের আয়কর নথি থেকে জানা যায়, মৃত্যু ভয়ে একবার ভীত হয়েছিলেন ড. ইউনূস। এ সময় আইন ভেঙ্গে সমাজকল্যাণ খাতের অর্থ নিজের প্রতিষ্ঠান ড. ইউনূস ট্রাস্ট, ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্ট ও ইউনূস সেন্টারে দান করেন তিনি। হাইকোর্টকে বলেন, যেকোনো সময় মারা যাওয়ার ভয়েই এমনটি করেছেন তিনি।
ড. ইউনূসের এমন কাণ্ড সম্পর্কে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আদালতকে ড. ইউনূস দানের কথা বলেছেন, কিন্তু কোনো সম্পদ বা অর্থ দান করলেও দান কর দিতে হয়। এক্ষেত্রে তিনি আইন অবজ্ঞা করেছেন। তিনি বলেছেন তার জন্য দান কর প্রযোজ্য নয়। কিন্তু কেন প্রযোজ্য নয় সেটির ব্যাখ্যাও তিনি স্পষ্ট করে দিতে পারেননি।
আইন বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, তিনটি বিশেষ ক্ষেত্রে দান কর প্রযোজ্য হয় না, যে সুবিধাটি ড. ইউনূস নিতে চেয়েছিলেন, তবে এই ধরনের বক্তব্য তার কাছ থেকে আগে পাওয়া যায়নি। কর ফাঁকির মামলা হওয়ার পরেই বিষয়টি উঠে আসলে তিনি এখন এমন বক্তব্য দিচ্ছেন, যা ইউনূসের মতো ব্যক্তির কাছে কাম্য নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষয়টি কোম্পানী আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এর শাস্তি হচ্ছে অনধিক পাঁচ বছর মেয়াদের কারাদণ্ডসহ আর্থিক জরিমানা।
দান করা এই অর্থ থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস মুক্তি পাবেন কি না এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আগামী ২৩ মে হাইকোর্টে হবে চূড়ান্ত শুনানি। এর আগে ৭০ কোটি টাকার আয় করের মামলায় ট্যাক্সেস এপিলেট ডিভিশনে হেরে যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।