কোন প্রকল্পে কত ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:৩১, মঙ্গলবার, ২ মে, ২০২৩, ১৯ বৈশাখ ১৪৩০

পাঁচটি প্রকল্প ও কর্মসূচিতে বাংলাদেশকে ২২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। সোমবার ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাসের উপস্থিতিতে ওই ঋণচুক্তি হয়।

বাংলাদেশ কোন কোন প্রকল্পে কত ডলারের ঋণ নিচ্ছে তা নিচে উল্লেখ করা হলো-

বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফর অ্যাডাপটেশন এন্ড ভালনারাবিলিটি রিডাকশন বা রিভার প্রকল্পে ৫০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি হয়েছে। এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো, সহনশীল ও টেকসই অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে অধিক সংখ্যক মানুষকে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা, দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি এবং দুর্যোগ প্রশমনে দেশের সক্ষমতার উন্নয়ন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের ৩০ জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনিবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন বা বেষ্ট প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ঋণ দিচ্ছে ২৫ কোটি ডলার। পরিবেশ অধিদপ্তর, বিআরটিএ, বাংলাদেশ ব্যাংক ও হাই–টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের যৌথ বাস্তবায়নে এ প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় সরকারের সক্ষমতা বাড়ানো এবং দূষণ কমানো হবে। এর মেয়াদকাল ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত।

অ্যাক্সিলারেটিং ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ট্রেড কানেকটিভিটি ইন ইস্টার্ন সাউথ এশিয়া (অ্যাক্সেস)– বাংলাদেশ পর্যায়–১ প্রকল্পে ৭৫ কোটি ৩৪ লাখ ২৫ হাজার ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এনবিআর, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ২০২২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো, আঞ্চলিক বাণিজ্য ও পরিবহনের উন্নয়ন।

সাসটেইনেবল মাইক্রো-এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্ট ট্রান্সফরমেশন বা স্মার্ট প্রকল্পে ঋণের পরিমাণ ২৫ কোটি ডলার। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য জলবায়ু–সহিষ্ণু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রসারে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তা করা। পিকেএসএফ ২০২৩ থেকে ২০২৮ সাল মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

ফার্স্ট বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট বা জিসিআরডি কর্মসূচিতে ৫০ কোটি ডলারে বাজেট সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। অর্থ মন্ত্রণালয় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে। কর্মসূচির মূল লক্ষ্য সবুজ ও জলবায়ু সহনশীল উন্নয়নে সরকারকে সহায়তা করা। কিছু শর্ত পালন সাপেক্ষে আগামী অর্থবছরে এ অর্থ ছাড় করবে বিশ্বব্যাংক।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article