ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণের ফাঁদে পড়ে ‘শিশু শ্রমিক’ হওয়া আঁখির গল্প

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:৩৬, শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আমাদের সব সম্বল হারানোর পেছনে তার গ্রামীণ ব্যাংকই দায়ী। শুধুমাত্র ঋণ নেয়ার কারণেই গ্রাম ছাড়তে হলো আমাদের, যদিও মুখে বড় বড় কথা বলা ইউনূসের ‘আসল’ চেহারা আমরা দেখতে পেরেছি।

আঁখি আক্তারের বয়স তখন ১০ বছর। হতদরিদ্র পরিবারে জন্ম। অভাবের তাড়নায় নব্বইয়ের দশকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ঋণ নেন তার বাবা। কিন্তু এ টাকা শোধ করতে হারাতে হলো জমিজমা আর গোয়ালের গরু। এমনকি সাপ্তাহিক ‘সুদের ঘানি’ টানতে ছোট্ট বয়সেই শ্রমিকের খাতায় নাম লেখাতে হয়েছিল আঁখিকে। তবু মেলেনি রেহাই। এভাবেই ঋণের ফাঁদে ফেলে তিলে তিলে আঁখির পরিবারকে পথে বসিয়েছিলো ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংক।

একসময় ‘শিশু শ্রমিক’ থাকা আঁখির বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। বর্তমানে তিনি সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটিতে রয়েছেন। গোটা পরিবার নিয়ে ঢাকায় ভাড়া বাসায় থাকছেন তিনি। গরিবের ‘রক্তচোষা’ ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে যেভাবে নিঃস্ব হলো নিজের পরিবার; সম্প্রতি সেই গল্পই গণমাধ্যমে শুনিয়েছেন এই শ্রমিক নেতা।

আঁখি বলেন, ১৯৯১ বা ৯২ সালের দিকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে সামান্য কিছু টাকা ঋণ নেন আমার বাবা। কিন্তু সপ্তাহ না ঘুরতেই কিস্তি নিতে পীড়া দিতে থাকেন ব্যাংকটির মাঠকর্মীরা। বছরখানেক ধরে এভাবে টানা কিস্তি দেয়া হয়। সুদের ঘানি টানতে জমিও বেচতে হলো। এরপরও মূল টাকা পরিশোধ হয়নি। একপর্যায়ে কিস্তি দিতে না পারায় কর্মীরা আমাদের দুটি গরু নিয়ে যান। পরে গরুসহ ঘরের নানান জিনিসপত্র বেচে সুদে-আসলে টাকা পরিশোধ করা হয়।

তবে ঋণের গল্প এখানেই শেষ হয়নি; ড. ইউনূসের উদ্ভাবিত সাপ্তাহিক কিস্তির জালে আটকে সবকিছু হারিয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এলেও মুক্তি মেলেনি আঁখিদের। ১৯৯৬ সালের দিকে হঠাৎ খবর আসে গ্রামীণ ব্যাংকের সেই ঋণ অপরিশোধিত। বেড়েছে সুদের টাকাও। সবমিলিয়ে ২০-২৫ হাজার টাকা না দিলে হামলা-মামলারও হুমকি দেন গ্রামীণের কর্মীরা। আর এই হিসাব মেলাতে ফের গ্রামে যেতে হলো আঁখির বাবাকে। শেষমেশ বাকি জমিটুকু বিক্রি করে এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হয় তার পরিবার।

শ্রমিক নেতা আঁখি বলেন, শুরুতে ভেবেছিলাম গরিবদের কষ্ট লাঘবে গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ দেন ড. ইউনূস। কিন্তু এ ফাঁদে পা দেয়ার পর জানলাম চক্রটি দরিদ্রদের আরও নিঃস্ব করে ফেলে। কেননা আমাদের সব সম্বল হারানোর পেছনে তার গ্রামীণ ব্যাংকই দায়ী। শুধুমাত্র ঋণ নেয়ার কারণেই গ্রাম ছাড়তে হলো আমাদের, যদিও মুখে বড় বড় কথা বলা ইউনূসের ‘আসল’ চেহারা আমরা দেখতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, শুরু থেকেই মানুষ ঠকিয়ে আসছেন ড. ইউনূস। তিনি কখনোই গরিবের পাশে দাঁড়াননি। উল্টো ঋণ দিয়ে সব সংসারে অশান্তির আগুন লাগিয়েছেন। অথচ তিনিই আবার শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন। আসলে প্রতারণা ছাড়া ইউনূসের ভালো কোনো দিক খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে এতদিন তার এমন শত কুকর্ম নিয়ে লোকজন অন্ধকারে থাকলেও এখন বিভিন্ন মাধ্যমে সব ফাঁস হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে এই লোকের কঠোর শাস্তিই হওয়া উচিত। কেননা তার কারণেই আমাকে শিশু শ্রমিক হতে হয়েছিল; যা কখনোই ভুলতে পারবো না।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


রোববার থেকে খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক

শিশু-কিশোরদের সঙ্গে রাস্তায় ভিজলেন মেয়র আতিক

শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী

বছরে একটি বিসিএস সম্পন্ন করার পরিকল্পনা পিএসসির

৭৬ বছরের রেকর্ড ভাঙলো তাপপ্রবাহ

বাংলাদেশ-ভুটান ৯ম বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত

মাদকের অপব্যবহার বিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী

জলবায়ু অভিযোজনে সহায়তা দ্বিগুণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের সুযোগ রয়েছে