মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট সোনিয়াকেও বাঁচানো গেল না

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:২০, বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪, ১৩ চৈত্র ১৪৩০

উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট থেকে সোনিয়াকে পাঠানো হয়েছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখান থেকে নেওয়া হয় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। বুধবার ভোর ৫টার দিকে সেখানে সোনিয়াকে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে জানান জুড়ী থানার ওসি এস এম মাঈনুদ্দিন।

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বাবা-মা আর তিন ভাইবোনকে হারানো শিশু সোনিয়া সুলতানাও মারা গেল।

উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট থেকে সোনিয়াকে পাঠানো হয়েছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখান থেকে নেওয়া হয় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। বুধবার ভোর ৫টার দিকে সেখানে সোনিয়াকে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে জানান জুড়ী থানার ওসি এস এম মাঈনুদ্দিন।

সোনিয়ার মৃত্যুতে জুড়ীর বাকপ্রতিবন্ধী দিনমজুর ফয়জুর রহমানের পরিবারে আর কেউ বেঁচে রইল না।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. তারিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাচ্চাটাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ঢাকা মেডিকেল থেকে পরে আমাদের এখানে আনা হয়। কিন্তু আগেই শিশুটির মৃত্যু হওয়ায় আর ভর্তি করা হয়নি।"

মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট সোনিয়াকেও বাঁচানো গেল না 

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামের ভাঙ্গার পাড় এলাকায় অন্যের জমিতে টিনের ঘরে তুলে পরিবার নিয়ে থাকতেন ফয়জুর রহমান। সেই ঘরে বিদ্যুতের লাইন নেওয়ার মত সামর্থ্য তার ছিল না

মঙ্গলবার ভোর রাতে ঝড়বৃষ্টি আর বজ্রপাতের মধ্যে বাড়ির ওপর দিয়ে যাওয়া পল্লী বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে ফয়জুরের টিনের চালে। পুরো ঘর বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণ যায় ফয়জুর (৫০), তার স্ত্রী শিরি বেগম (৪৫), তাদের মেয়ে সামিয়া (১৫), সাবিনা (৯) এবং ছেলে সায়েম উদ্দিনের (৭)।

তাদের আরেক মেয়ে সোনিয়াকে (১২) গুরুতর অবস্থায় সিলেটের এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে নেওয়া হয় ঢাকায়। কিন্তু সেও চলে গেল পরিবারের অন্যদের পথে। 

স্থানীয় উত্তর গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত সোনিয়া। মঙ্গলবার বিকালে স্থানীয় হাজী ইনজাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে তার বাবা-মা আর ভাই-বোনদের জানাজা হয়। পরে স্থানীয় কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। সোনিয়াকেও সেখানেই দাফন করা হবে বলে তার মামা আজির উদ্দিন জানিয়েছেন।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article