ভারতীয় পণ্য বর্জন যে কারণে স্থায়ী হবে না!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:০০, রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪, ১০ চৈত্র ১৪৩০

সাময়ীকভাবে  ‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেইনটি আলোচনায় আসলেও এটি ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাবে। আর এ বাস্তবতা সম্পর্কে দেশের জনগণও ওয়াকিবহাল। সব মিলিয়ে ভারতীয় পণ্য বর্জন স্থায়ী হবে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


 


 

গেল ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকেই ‘ইন্ডিয়া আউট’ নামে ভারত বিরোধী প্রচারণা লক্ষ্য করা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। স্বেচ্ছায় নির্বাসিত চিকিৎসক ও বিএনপিপন্থী ব্লগার পিনাকী ভট্টাচার্যর মস্তিষ্কপ্রসূত চিন্তাভাবনা প্রকাশের পর গণঅধিকার পরিষদের একাংশের নেতা নুরুল হক নূর শুরুতে এই প্রচারণা শুরু করেন। পরবর্তীতে বিএনপির  নেতারাও ব্যক্তিগভাবে এই বিষয়ে আওয়াজ তোলেন,যদিও তা দলীয় সিদ্ধান্ত কিনা তা স্পষ্ট করেনি দলটি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয় পণ্য বর্জনের যে ডাক দিয়েছেন তার যথার্থতা নিয়ে প্ৰশ্ন উঠলেও এই আন্দোলন স্থায়ী রূপ নিয়ে সফলতার দরজা স্পর্শ করবে কিনা তা নিয়েও যথেষ্ট  বিতর্ক রয়েছে,যদিও তারা সাম্প্রতিক সময়ে মালদ্বীপের উদাহরণ টানছেন।

পরিসংখ্যান বলছে, ভারতীয় পণ্যের ওপর ব্যাপক নির্ভরতা তৈরী হয়েছে বাংলাদেশে মানুষের। প্রতি বছর বাংলাদেশে কমপক্ষে ১৪০০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করে ভারত।

প্রথমত, ভারতীয় পেঁয়াজ, চাল, মসলা না আসলে দেশের বাজারে এগুলোর দাম আকাশচুম্বী হয়ে যায়। দেশের একটি বিরাট জনগোষ্ঠীকে ভারতীয় পণ্য বিলাসিতার জন্য নয় বরং বেঁচে থাকার জন্য ব্যবহার করতে হয়।

দ্বিতীয়ত, মুক্তবাজার অর্থনীতির এই সময়ে ভারতীয়, ইউরোপীয় বা মার্কিন পণ্য বলে কোন কিছু নেই। কোন পণ্যই এককভাবে কোন দেশের নিজস্ব নয়। বরং একটি পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বহু দেশের কাঁচামাল, বহু দেশের প্রযুক্তি  ও বহুজাতিক কোম্পানির ক্রিয়াশীল ভূমিকা থাকে। আর তাই কোন পণ্যকে একটি নির্দিষ্ট দেশের পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার দিন শেষ হয়ে গেছে।

তৃতীয়ত, বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারতে যায়। ভারতের ওপরে চিকিৎসা নির্ভরতা অপরিসীম। এছাড়া আকাশ সংস্কৃতিতে ভারত নির্ভরতা অনেক বেশি। ভারতীয় সিনেমা, ওয়েব ফিল্ম, টেলিভিশন না দেখলে মধ্যবিত্ত বাঙালিদের ঘুম হয়না।

এমন বাস্তবতায় ইন্ডিয়া আউট কর্মসূচি বাস্তবায়ন প্রায় অসম্ভবই বলা যায়। এছাড়া ভারতীয় বা অন্য যেকোনো দেশের পণ্য বর্জন বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক বাস্তবতার সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।একটিকে উগ্র জাতীয়তাবাদী প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তা ভাবনা বলেই মনে করা হয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মালদ্বীপ'র সফলতা  এক্ষেত্রে উদাহরণ হতে পারেনা, কারণ দেশটিতে ভারতীয় সৈন্যের উপস্থিতি ছিল বিধায় এমনিতেই সেদেশের মানুষ কিছুটা ক্ষিপ্ত ছিল। তাই ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইন রাজনৈতিক রূপ লাভ করে। এছাড়া চীন মালদীপকে সবরকম সহায়তা দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। অধিকাংশ ভারতীয় পণ্যের বিকল্প যেমন জানেনা সাধারণ মানুষ, তেমনই সবরকম চাহিদা পূরণের বিকল্পও গড়ে ওঠেনি। কাজেই সাময়ীকভাবে আন্দোলনটি আলোচনায় আসলেও এটি ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাবে। আর এ বাস্তবতা সম্পর্কে দেশের জনগণও ওয়াকিবহাল। সব মিলিয়ে ভারতীয় পণ্য বর্জন স্থায়ী হবে না বলেও মনে করেন তারা।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


রোববার থেকে খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক

শিশু-কিশোরদের সঙ্গে রাস্তায় ভিজলেন মেয়র আতিক

শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী

বছরে একটি বিসিএস সম্পন্ন করার পরিকল্পনা পিএসসির

৭৬ বছরের রেকর্ড ভাঙলো তাপপ্রবাহ

বাংলাদেশ-ভুটান ৯ম বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত

মাদকের অপব্যবহার বিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী

জলবায়ু অভিযোজনে সহায়তা দ্বিগুণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের সুযোগ রয়েছে