পর্যাপ্ত বিনিয়োগ সংগ্রহ করতে না পারায় প্রথম স্ত্রী রুশ তরুণী 'ফরোস্টেনকো’কে ডিভোর্স দেন ইউনূস!
সরল বিশ্বাসে বাংলাদেশি স্বামী ইউনূসকেও সেসব ডোনারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন ফরোস্টেনকো। তাদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করেই ১৯৭৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক গড়ে তোলেন তিনি। মূলত ভিন্ন ধর্মাবলম্বী নারীকে তার বিয়ে করার অন্যতম কারণই ছিল এটি।
বিতর্ক আর ড. মুহাম্মদ ইউনূস যেন সমার্থক শব্দ। এই নোবেলজয়ীকে নিয়ে যতই ঘাঁটাঘাঁটি চলছে ততই বেরিয়ে আসছে অবাক করা সব তথ্য। এবার সামনে এলো তার প্রথম সংসার জীবনের কিছু চিত্র। ইউনূসের বর্তমান স্ত্রীর নাম আফরোজী ইউনূস। কিন্তু এর আগেও তার ৯ বছরের সংসার ছিল; যা অনেকেরই অজানা।
গরিবের ‘রক্তচুষে’ কোটিপতি হওয়া ড. ইউনূস প্রথম বিয়ে করেন ১৯৭০ সালে। তাও আবার খ্রিস্টান তথা রাশিয়ান তরুণীকে। যার নাম ভেরা ফরোস্টেনকো। ১৯৬৭ সালে ভেন্ডারবেল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে তার সঙ্গে ইউনূসের পরিচয় হয়। রাশিয়ার বড় বড় ধনী কিংবা সম্পদশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে এই তরুণীর ওঠাবসা ছিল। আর এ সুযোগটি কাজে লাগিয়ে ফরোস্টেনকোকে ভালোবাসার জালে জড়িয়ে বিয়ে করেন ইউনূস।
সরল বিশ্বাসে বাংলাদেশি স্বামী ইউনূসকেও সেসব ডোনারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন ফরোস্টেনকো। তাদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করেই ১৯৭৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক গড়ে তোলেন তিনি। মূলত ভিন্ন ধর্মাবলম্বী নারীকে তার বিয়ে করার অন্যতম কারণই ছিল এটি। তবে হঠাৎ ইউনূসের প্রকৃত রূপ বেরিয়ে আসে রুশ স্ত্রীর সামনে। জানতে পারেন রাশিয়ার ডোনারদের কাছ থেকে নেয়া টাকা গ্রামের গরিবদের মাঝে সুদে খাটানোর কথাও।
এ নিয়ে ইউনূসকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করেন ফরোস্টেনকো। কিন্তু তার কথা আমলে নেননি তিনি। এজন্য বিদেশি বিনিয়োগ সংগ্রহ বন্ধ করে দেন স্ত্রী। এরপরই তাকে ডিভোর্স দিতে উঠেপড়ে লাগেন গ্রামীণ সুদের এই প্রবক্তা। স্বার্থ মিটে যাওয়ায় শেষমেশ ১৯৭৯ সালে সংসারের ইতি টানেন ইউনূস। সেই সময় ফরোস্টেনকো’র কোলে ছিল তিন মাসের মেয়ে সন্তান, যাকে সবাই মার্কিন সংগীত শিল্পী মনিকা ইউনূস নামেই চেনেন।
তবে ইউনূস এভাবে প্রতারণা করায় ডিভোর্সের পর ফরোস্টেনকো পুরো বাংলাদেশকে ঘৃণা করে নিজের কন্যাকে নিয়ে আমেরিকার নিউ জার্সিতে ফিরে যান। জীবনের বাকিটা সময় বাংলাদেশ ও ইউনূসকে ঘৃণা করে ২০১৭ সালের ৯ এপ্রিল মারা যান ফরোস্টেনকা। নিউ জার্সিতেই তাকে সমাধিত করা হয়।
গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণ টেলিকমের সিনিয়র কর্মকর্তারা ছাড়াও চট্টগ্রামে ইউনূসের নিজ গ্রাম জোবরা গ্রামের প্রবীণরাও এই কাহিনী জানেন। সুদের টাকার জন্য নিজ গ্রামের নারী-পুরুষ নির্বিশেষে চাপ প্রয়োগ করার বহু ঘটনা আছে গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে। এরপরও শান্তিতে তিনি কিভাবে নোবেল পান এ নিয়ে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য ঘুরে বেড়ায় সর্বত্রই।
সমালোচকরা বলছেন, ড. ইউনূস শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্যই সবকিছু করছেন। ঋণ দিয়ে তিনি যেভাবে গ্রামের সহজ-সরল নারীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছেন; ঠিক একইভাবে স্ত্রীর সঙ্গে আচরণ করেছেন। মোটকথা স্বার্থে আঘাত লাগলেই তার রূপ বদলে যায়; যা এখনও চলমান। আর এভাবেই আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় হয়ে উঠেছেন এই নোবেলজয়ী।