সেহরি না খেলে কি রোজা হবে?

  ধর্ম ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:১৮, সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪, ৪ চৈত্র ১৪৩০

গ্রহণযোগ্য ওজর ছাড়া রমজানের রোজা ভেঙে ফেললে কাজা করার পাশাপাশি কাফফারাও দিতে হবে। অর্থাৎ ওই রোজাটির পরিবর্তে আরেকটির রোজা রাখার পাশাপাশি একটি গোলাম আজাদ করতে হবে অথবা ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা ভালোভাবে তৃপ্তিসহকারে আহার করাতে হবে অথবা ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজা রাখতে হবে।

শেষ রাতে সেহরি খেয়ে রোজা শুরু করা সুন্নত। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তোমরা সেহরি করো, সেহরিতে বরকত আছে। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম) আরেকটি হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আহলে কিতাব তথা ইহুদি-খ্রিস্টান আর মুসলমানদের রোজার মধ্যে পার্থক্য সেহরি খাওয়া। অর্থাৎ তারা সেহরি খায় না আর আমরা সেহরি খাই।’ (সহিহ মুসলিম, সুনানে তিরমিজি)

কিন্তু সেহরি না খেলেও বা সেহরির সময় না উঠতে পারলেও রমজানের রোজা হবে বা রোজা রাখতে হবে। রমজানের রোজা রাখা ফরজ। গ্রহণযোগ্য ওজর ছাড়া রমজানের রোজা ভেঙে ফেললে কাজা করার পাশাপাশি কাফফারাও দিতে হবে। অর্থাৎ ওই রোজাটির পরিবর্তে আরেকটির রোজা রাখার পাশাপাশি একটি গোলাম আজাদ করতে হবে অথবা ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা ভালোভাবে তৃপ্তিসহকারে আহার করাতে হবে অথবা ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজা রাখতে হবে।

Share This Article