প্রচারণার শেষ মুহুর্তে ৪ প্রার্থীকে নিয়ে চলছে ভোটের হিসাব-নিকাশ
প্রচারণার শেষ মুহুর্তে প্রার্থীরা এখন ভোটের হিসাব-নিকাশ কষতে শুরু করেছেন। গণসংযোগের ফল মিলিয়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় ও এলাকাভিত্তিক ভোট ভাগাভাগির পাশাপাশি বর্ধিত নগরী ও বস্তির ভোট নিয়ে এখন যোগ-বিয়োগ চলছে। দীর্ঘদিনের নির্বাচনের রেওয়াজ অনুযায়ী রাজনৈতিক বিবেচনায় ভোট ভাগাভাগি হত। এবার রাজনৈতিক ভোটের চেয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ ভোটারের সংখ্যাই বেশি।
এ বছর নগরীতে নতুন তালিকা অনুযায়ী, ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার দুই শত ৯৮ ভোটার। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোটার ছিল ২ লাখ ৪২ হাজার ১ শ’ ৬৬ জন।
রহমান স্বপন বলছেন, নেতৃত্ব পর্যায়ে ভোট দেওয়া নিরুৎসাহিত করা হলেও বিএনপির ১৮ জন পদাধিকারী কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছে, সেসব কারণে বলা যায়, বিএনপি এই নির্বাচনে আছে ও বিএনপির ভোটাররা এই নির্বাচনে কিছুটা কম সংখ্যক হলেও ভোট দিতে যাবেন। বিএনপির এই সিটিতে প্রায় লাখ ভোটার রয়েছে। তবে তারা সবাই বিএনপির রাজনীতি সংশ্লিস্ট না হলেও বিএনপির প্রার্থীকে ভোট দিয়ে থাকেন।
জাতীয় পার্টির প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট অধ্যক্ষ মহসিন উল ইসলাম হাবুল বলেন, মেয়র প্রার্থীর মধ্যে জাপা প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস যুবদল নেতা তছলিম উদ্দিনের ভাই, তা ছাড়া বিএনপি আদর্শগত ভাবে জাপার কাছাকাছি, সে হিসেবে বিএনপি কেন্দ্রীক একটি ভোট জাপা পাবে বলে আশা করছেন এই নেতা।
অপরদিকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী এবারে বিএনপি কেন্দ্রিক ভোটারদের দ্বারে দ্বারে বেশি ঘুরেছেন বলে একটি বিশ্বস্তসূত্র জানায়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, আমি আশা করছি- বিএনপির ভোট পাব।
বিভিন্ন ওয়ার্ডে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাতীয় পার্টি লাঙল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস ও দেয়ালঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপন বিএনপি’র ভোটারদের মন জয় করতে নানান প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। এ দুই প্রার্থী ভোটের দিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে এজেন্ট নিয়োগসহ বিভিন্ন কাজ বিএনপি’র ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ব্যবহার করছেন।
এলাকার ভোটাররা বলছেন, সব প্রার্থী নির্বাচনে প্রেচারণায় ব্যাস্ত । তবে নৌকার প্রার্থী সৎ ও যোগ্য হওয়ায় ভোটের পাল্লা ভারী। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে খোকন সেরনিয়াবাত বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।