মুরিদদের ভয় দেখিয়ে স্ত্রীদের নির্বাচনী মাঠে নামিয়েছেন চরমোনাই পীর!
- বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয়ের আশায় ধর্মের বিভিন্ন অপ-ব্যাখ্যা দিয়ে মুরিদদের জাহান্নামের ভয় দেখাচ্ছেন চরমোনাই পীর ফয়জুল করীম।
- এরইমধ্যে মাঠে নেমেছেন দুই হাজার ১০০ নারীকর্মী,যারা চরমোনাই পীরের মুরিদদের স্ত্রী ও কন্যা।
- আমাদের স্বামীদের বলা হয়েছে মুরিদের দায়িত্ব হলো পীরের কথা মতো চলা,তার সন্তুষ্টি অর্জন করা।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয়ের আশায় ধর্মের বিভিন্ন অপ-ব্যাখ্যা দিয়ে মুরিদদের জাহান্নামের ভয় দেখাচ্ছেন চরমোনাই পীর ফয়জুল করীম। তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন, যদি ক্ষমতা চরমোনাইয়ের হাতে থাকে তাহলে হজরত ওমর (রা.) এর শাসন ব্যবস্থার মতো সুশাসন নিশ্চিত হবে। কেউ এ আদেশ অমান্য করলে সে ইসলামী দলভুক্ত থাকতে পারবে না। এমনকি দল থেকে বহিষ্কার ও জাহান্নামের ভয় দেখিয়ে মুরিদদের স্ত্রীদেরকেও নির্বাচনী প্রচারণায় নামিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, পীরের এমন নির্দেশ পেয়ে এরইমধ্যে মাঠে নেমেছেন দুই হাজার ১০০ নারীকর্মী,যারা চরমোনাই পীরের মুরিদদের স্ত্রী ও কন্যা। ১২ জুন নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিটি ওয়ার্ডে ৭০ জন করে দলভুক্ত হয়ে ৩০টি ওয়ার্ডেই একযোগে প্রচারণা শুরু করেছেন তারা। কয়েকদিনের মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে কর্মপরিকল্পনা করে আরও বেশি নারী কর্মীদের প্রচারণায় যুক্ত করা হবে বলে জানায় দলীয় সূত্র। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নির্বাচন পরিচালনা সমন্বয় কমিটির সদস্য কেএম শরিয়তউল্লাহ।
চরমোনাই পীরের নারী টিম লিডাররা জানান, আমাদের স্বামীদের বলা হয়েছে মুরিদের দায়িত্ব হলো পীরের কথা মতো চলা,তার সন্তুষ্টি অর্জন করা। পীরের পক্ষে যদি প্রচারণায় না আসি তাহলে আল্লাহ-রাসূল নারাজ হবেন। আমরা জাহান্নামে প্রবেশ করবো। তাই পীর সাহেবের নির্বাচনী প্রচারণায় এসেছি।
ধর্মীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভোটারদের টানতে ধর্মকে ব্যবহার করে নোংরা খেলায় মেতেছেন চরমোনাই পীর। ধর্মের নামে অপ-ব্যাখ্যা ও ভয়-ভীতি দেখানো বড় ধরনের অপরাধ ও নির্বাচনী আচরণ বিধিমালারও লঙ্ঘন। শুধু তাই নয়, তিনি যে সব বক্তব্য দিয়ে মুরিদদের স্ত্রীদের নির্বাচনী মাঠে নামিয়েছেন তাও সম্পূর্ণ ইসলাম বিরোধী।নির্বাচনী কাজে নারীদের ব্যবহারের জন্য তিনি ধর্মের এমন অপব্যখ্যা দাড় করানোর প্রয়োজন ছিলোনা