দ্বাদশ নির্বাচন
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না যুক্তরাষ্ট্র: ম্যাথিউ মিলার
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না যুক্তরাষ্ট্র। নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার দিকে মনোযোগ দিবে তারা। অতি সম্প্রতি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন,পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোনো দল নির্বাচনে অংশ নিবে কিনা এ ব্যাপারে আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করবো না। আমাদের মূল টার্গেট অবাধ, স্বচ্ছ, ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। এজন্যই এই নতুন পলিসি বা ‘ভিসানীতি’ ঘোষণা করেছে সরকার। সুষ্ঠু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।
মূলতঃ বাংলাদেশের রাজনৈতিক মাঠে স্থিতিশীল পরিবেশ চায় যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য কোন দল নির্বাচনে এলো বা না এলো এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে চায় না দেশটি। কারণ তারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে গেলো কয়েক মাস ধরেই পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি বাংলাদেশ সফর করেছেন। তারই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি নতুন ‘ভিসানীতি’ ঘোষণা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভিসানীতি’ ঘোষণায় দলটির নির্বাচন বানচাল প্রচেষ্টার পথ রুদ্ধ হবার পর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো বেশি হতাশ হয়ে পড়ে বিএনপি। কেননা তারা যুক্তরাষ্ট্রকে দীর্ঘদিন ধরেই বিপদের বন্ধু ভেবে আসছিলো। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে দেশটির হস্তক্ষেপ কামনা করেই দ্বাদশ নির্বাচন বয়কটের চিন্তা-ভাবনা করছিলো দলটি। কিন্তু উক্ত ব্রিফিংয়ে বিএনপির কথা না ভেবেই সব রাজনৈতিক দল নিয়ে মন্তব্য করে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সমালোচকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভিসানীতি’ ঘোষণার পর নতুন করে দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের ব্রিফিং বিএনপির জন্য যেন 'মরার ওপর খাড়ার ঘা'। চিন্তিত হয়ে পড়েছে দলটি। কারণ তাদের বুঝতে বাকি নেই আমেরিকাও তাদের হাতছাড়া হয়ে গেলো।তবে বিএনপির সামনে এখন একটাই পথ খোলা, কূটনৈতিক তৎপরতা না বাড়িয়ে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে নির্বাচনে অংশ নেয়া। কেননা অস্তিত্ব টেকাতে হলে বিএনপিকে ভোটের মাঠে থাকা ছাড়া কোনো উপায় নেই বলেও মনে করেন তারা।