বরিশালে 'হরিজন কমিশন' গঠন করে তাদের দুঃখ ঘুচাবেন খোকন সেরনিয়াবাত!
দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ করেন হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন। অন্যের বসবাসের পরিবেশ ঝকঝকে পরিষ্কার করে রাখলেও নিজের বসবাসের পরিবেশটি সবসময় অপরিচ্ছন্ন থেকে যায়। উপরন্তু তারা সব ধরনের মৌল মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত।অনেক সময় দুরারোগ্য ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায়ও মারা যায়। তাদের খোঁজখবর কেউ রাখেন না।তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বরিশাল সিটি মেয়র প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত।
সম্প্রতি বরিশাল নগরীর আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত এক জনসভায় বলেছেন, হরিজনদের প্রধান পরিচয় তারা নগরীর সেবক। এ সেবকরাই নগরীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখছে। নাগরিক জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলছেন। কিন্তু তাদের জীবনযাত্রার মান কতোটা উন্নত সে খবর কেউ রাখে না। অথচ এটা সবার আগে রাখা উচিত ছিল। মেয়র নির্বাচিত হলে হরিজন সম্প্রদায়ের দুঃখ ঘুচাতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে হরিজনরা ভূমিহীন। সরকারি কলোনিগুলোয় গাদাগাদি করে তারা খুবই মানবেতর জীবনযাপন করে থাকেন। তাই সবার আগে তাদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা হবে। পাশাপাশি ঋণ বা পুজি তাদের নাগালের মধ্যে পৌঁছানোর জন্য নতুন করে ভাবতে হবে।
প্রয়োজনে দলিত হরিজন কমিশন গঠন করা হবে। এটি হবে স্থায়ী কমিশন। কমিশনের প্রথম কাজ হবে দলিতদের ওপর একটি পূর্ণাঙ্গ শুমারি করা। সবখানে তাদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। তাদের আবাসন, ভূমি ও চাকরির অধিকার নিশ্চিত করা হবে। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা প্রদান করা হবে। সর্বোপরি তাদের বিকাশের পথ সুগম করা হবে। মোটকথা তাদের মনে এ আস্থা নিয়ে আসতে হবে যে দেশটা তাদেরও। আর এটা মাথায় নিয়েই কাজ করা হবে বলে জানান খোকন সেরনিয়াবাত।
এদিকে এমন মানবিক আচরণে এরইমধ্যে হরিজন সম্প্রদায়ের প্রিয় মানুষ হয়ে উঠেছেন খোকন সেরনিয়াবাত। শুধু তাই নয়, ভোটের মাঠে তাকে নির্বাচিত করতে তাঁর পক্ষে প্রচারণায়ও নেমেছেন সর্বস্তরের দলিত হরিজনরা। সকলেই বলছেন, খোকন সেরনিয়াবাত জয়ী হলেই দুঃখ ঘুচবে তাদের।