সাধারণ মানুষ আমলাদের কাছে গেলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘দেশে যত আইনই থাকুক না কেন, আমলারা কিচ্ছু কেয়ার করেন না। তাঁরা তাঁদের মতো করে চলেন। আমি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে বলছি। দেশি-বিদেশি, উদ্যোক্তা, সাধারণ মানুষ আমলাদের কাছে গেলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে।
সোমবার (২২ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ৪৪ জন শিল্পোদ্যোক্তাকে ২০২১ সালের জন্য বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (শিল্প) তথা সিআইপি (শিল্প) হিসেবে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। শিল্প মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিনিয়োগের জন্য যা যা করা দরকার এই সরকার সব করেছে—রাস্তাঘাট, পোর্ট।
করোনা, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে দেশে বিদ্যুত্, গ্যাসের চাহিদা অনুযায়ী আমরা দিতে পারছি না। কিন্তু আমরা ইনফ্রাস্ট্রাকচার বা যে ভিত্তি করেছি, তা শিল্পায়নের জন্য অত্যন্ত সহায়ক। আগামী এক-দেড় বছরের মধ্যে ইকোনমিক জোনগুলো যদি হয়ে যায়, তাহলে শিল্পায়নের জন্য উৎকৃষ্ট হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে বলছি। আমরা দায়িত্ব এড়াতে পারি না। আমরা আইন করেছি, তা কেন বাস্তবায়ন হয় না? আমি অনেক উদাহরণ দিতে পারি। আমার এলাকায় একজন আনারস চাষ করেন। কৃষিতে আমরা ২০ শতাংশ ভর্তুকি দিই।
কিন্তু আনারস কৃষিপণ্যের মধ্যে নেই। এটাকে কৃষিপণ্য বানাতে আমার এক বছর লেগেছে। এই হলো আমাদের সিস্টেম।’
তিনি বলেন, ‘আজকে যে ডলারের সংকট, এটা কেন হলো? এ জন্য আমাদের অনেকেই, আমিও, কমবেশি দায়ী। আমরা কিছু না কিছু অর্থ ইনকাম থেকে বিদেশে নিচ্ছি। কানাডায় বাড়ি করছি, দুবাইয়ে, মালয়েশিয়ায় নিচ্ছি। ছেলেমেয়ে বিদেশে পড়েছে, গুলশানের বাড়ি বিক্রি করে আমরা ডলার বিদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছি। আপনি তিন কোটি টাকা কানাডা পাঠাবেন, দুই দিনও লাগবে না, চলে যাবে। কারা করে এগুলো? যারা টাকা পাচার করে, আসুন তাদের আমরা ঘৃণা করি। এমন পরিস্থিতি তৈরি করি।’
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদসচিব মো. মাহবুব হোসেন ও এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা।