চট্টগ্রামে জেএমবি কমান্ডারের ২০ বছরের জেল

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:৫৫, মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০২৩, ২৬ বৈশাখ ১৪৩০

বিস্ফোরক আইনের মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) নেতা এরশাদ হোসাইনকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁইয়া এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার অপর তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

দণ্ডিত এরশাদ হোসাইন ওরফে মামুন দিনাজপুর জেলার সরকারপাড়া গ্রামের মো. রিয়াজুল ইসলামের ছেলে। তিনি জেএমবির চট্টগ্রাম জেলার কমান্ডার ছিলেন।

খালাস পাওয়া তিনজন হলেন- গাইবান্ধা জেলার তুলশীপাড়ার আক্তার হোসেন সরকারের ছেলে বুলবুল আহমেদ সরকার ওরফে ফুয়াদ, ঝিনাইদহ জেলার কোট চাঁদপুরের মমিনুল ইসলামের ছেলে মো. সুজন এবং চট্টগ্রাম নগরের কর্ণফুলী থানার ইছানগর এলাকার আব্দুল গণির ছেলে মাহাবুবুর রহমান ওরফে খোকন।

আট বছর আগের এই মামলার রায় ঘোষণার সময় বিচারক শরীফুল আলম ভুঁঞা সংক্ষিপ্ত পর্যবেক্ষণে বলেন, অভিযোগ ছিল ১ জনের বিরুদ্ধে যে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার হয়। জেএমবি সদস্যদের অবস্থানের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। বোমা তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। আসামি এরশাদ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। ধৃত আসামির জবানবন্দি সত্য ও স্বেচ্ছায় বলে প্রমাণিত। জবানবন্দি ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিস্ফোরক আইনের ৪ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এবং যেহেতু জেএমবি নিষিদ্ধ ও জনজীবনের জন্য হুমকি, তাই তাকে ২০ বছর সশ্রম এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের সাজা দেওয়া হলো।

এর আগে গত ১১ এপ্রিল যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষে এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য মঙ্গলবার তারিখ রাখে আদালত। সেদিন যুক্তি-তর্ক শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছিল আসামিরা।  

মামলার নথির বরাতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. নোমান চৌধুরী জানান, ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ থানার মীর আউলিয়ার মাজার সড়কের এনআর স্টিল মিলের সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। ওই বাসা থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, বইসহ এরশাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযানের সময়ে অন্য আসামিরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় আকবর শাহ থানায় এসআই শহিদুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন।  

২০১৫ সালের শেষের দিকে নগরের কর্ণফুলী থানায় এক জঙ্গিবিরোধী অভিযানে বুলবুলসহ অন্য তিন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের আকবর শাহ থানার এই বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আকবর শাহ থানার এসআই মোহাম্মদ সোলায়মান ২০১৬ সালের ৮ এপ্রিল চারজনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করে আদালত তাদের বিচার শুরুর আদেশ দেন।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


ইমতিয়াজ রাব্বিকে হলে সিট ফেরত দেওয়ার নির্দেশ

ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

ড. উনূসের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ আজ

বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত

হাবিব-উন নবী খান সোহেলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

বিচার শুরু রাসেল-শামীমার, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

দুর্নীতি মামলায় কারাগারে মেজর মান্নান

ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর

আড়াই বছরের মেয়েকে হত্যা: প্রেমিকসহ মায়ের যাবজ্জীবন

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ছে, বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই : আইনমন্ত্রী

হলমার্কের তানভীর-জেসমিনসহ ৯ জনের যাবজ্জীবন

আজ হলমার্কের দুর্নীতির মামলার রায়