বাংলাদেশের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন আইএমএফের

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ০৯:৪৭, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩, ১৭ মাঘ ১৪২৯

সময় মতো ঋণ পরিশোধের সুনাম থাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের আগে শ্রীলংকা ও পাকিস্তানসহ আরও কয়েকটি দেশ একই ধরনের ঋণের জন্য আবেদন করলেও তা এখনো গৃহীত হয়নি।

 

 

দীর্ঘ আলোচনা ও বোঝাপড়ার পর অবশেষে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাড়ে ৪ বিলিয়ন বা ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ পেল বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফ কার্যালয়ে ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাহী বোর্ডের সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এই অনুমোদনের ফলে সাত কিস্তিতে ঋণ পাবে বাংলাদেশ।

করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করলেও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপে পড়ে; ডলারের বিপরীতে টাকার মান কিছুটা কমতে থাকে, মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকে। রিজার্ভ ধরে রাখতে আমদানিতে লাগাম টানায় অর্থনীতিও সংকুচিত হয়েছে; জ্বালানী সংকটের মুখে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উৎপাদন। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকিও বাংলাদেশের সামনে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গত জুলাই মাসে আইএমএফের কাছে ঋণ চায় বাংলাদেশ।

আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গত ২৬ অক্টোবর ঢাকায় আসেন। দুই সপ্তাহ সরকারে বিভিন্ন দপ্তর, নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং অংশীজনদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের পর ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছায় আইএমএফ।

উল্লেখ্য, ২.২ শতাংশ সুদে ৪৫০ কোটি ডলারের সাত কিস্তি ঋণের ফেব্রুয়ারিতেই প্রথম কিস্তির ৩৫২ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ। শেষ কিস্তি আসবে ২০২৬ সালে।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সময় মতো ঋণ পরিশোধের সুনাম থাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের আগে শ্রীলংকা ও পাকিস্তানসহ আরও কয়েকটি দেশ একই ধরনের ঋণের জন্য আবেদন করলেও তা এখনো গৃহীত হয়নি।

Share This Article