ষড়যন্ত্রের জাল কি আবার বিস্তৃত হচ্ছে

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:৪০, সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯

৩০ লাখ শহীদের জীবনের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশ। স্বাধীন দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশকে নানা ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হয়েছে ও হচ্ছে। শুরু থেকেই সব ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্য অভিন্ন।

যেকোনো উপায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া; দলটির সিনিয়র নেতাদের পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়া।

আর এই কাজে সব সময় সহায়তা করেছে আওয়ামী লীগ নামধারী দলের কিছু স্বার্থলোভী অনুপ্রবেশকারী। বহুমাত্রিক এসব ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিল দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা। বাংলাদেশের জন্য এটি অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়।

kalerkantho

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনের দুরূহ কাজে নিয়োজিত, ঠিক তখন থেকেই এই ষড়যন্ত্রের শুরু। দেশের মানুষ যখন পাকিস্তানি দখলদার সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত, ঠিক তখন এই দেশের এক শ্রেণির মানুষ যারা জামায়াত, মুসলিম লীগ, নেজামে ইসলাম, পিডিপির নেতাকর্মী, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, অগ্নিসংযোগ, নারী নির্যাতন, লুটপাট ইত্যাদি অপকর্মে লিপ্ত হলো। যুদ্ধ শেষে এই পাকিস্তানি দোসরদের রাজনীতি সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়া সংবিধান পরিবর্তন করে তাঁদের আবার রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। তাঁদের রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও তাঁদের তেমন কোনো অসুবিধা ছিল না। কারণ তাঁরা তত দিনে অতিডান ও অতিবামপন্থীদের ছত্রচ্ছায়ায় চলে গিয়েছিলেন। সবচেয়ে বেশি আশ্রয় নিয়েছিলেন মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন দল ন্যাপে। ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগ ভেঙে একদল নেতাকর্মী দল থেকে বের হয়ে গঠন করলেন জাসদ। বললেন, তাঁরা দেশে তথাকথিত বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কায়েম করতে চান। শুরু হলো পাটের গুদামে আগুন, আওয়ামী লীগের সদস্যদের প্রকাশ্যে হত্যা করা, মোটামুটি দেশে একটি নৈরাজ্য সৃষ্টি করা।

স্বাধীনতার পর পর দেশের অবস্থা কেমন ছিল তা হয়তো বর্তমান প্রজন্মকে বোঝানো কঠিন। যুদ্ধের সময় ভারতে চলে যাওয়া এক কোটি শরণার্থী শূন্য হাতে পোড়া ভিটায় ফিরছে। দেশের মধ্যে প্রায় সমানসংখ্যক মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে। দেশে নেই কোনো বৈদেশিক মুদ্রা, যা দিয়ে বিদেশ থেকে কোনো পণ্য আমদানি করা যায়। দেশ অনেকটা বিদেশি সাহায্যনির্ভর। দেশের দুটি সমুদ্রবন্দর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী মাইন পেতে বন্ধ করে দিয়েছে। প্রধান দুটি রেল সেতু, দাউদকান্দি ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজসহ প্রায় চার হাজার ছোট-বড় ব্রিজ-কালভার্ট ধ্বংসপ্রাপ্ত। ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের কারণে বিশ্বে তেলের দাম একলাফে ব্যারেলপ্রতি তিন ডলার থেকে ১২ ডলারে উঠে গেল। বাংলাদেশের মতো দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলো তখন পড়ে গেল এক কঠিন পরিস্থিতিতে।

বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সরকার যখন দেশে কিছুটা স্থিতিশীলতা আনার চেষ্টা করছে, ঠিক তখনই দেশ অতিবিপ্লবী সিরাজ সিকদারের দল ‘পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি’ শুরু করল গলা কাটার রাজনীতি। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল) সভাপতি কমরেড আবদুল হক শেখ মুজিবকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য লিখিতভাবে ‘তাঁর প্রেসিডেন্ট’ জুলফিকার আলী ভুট্টোর কাছে অস্ত্র আর বেতার যন্ত্র কেনার জন্য অর্থ সহায়তা চাইলেন। ভুট্টো মাহমুদ আলী নামের তাঁর একজন সহকর্মীকে এই সহায়তা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেন (জুলফি ভুট্টো অব পাকিস্তান, স্টানলি উলপার্ট)। কমরেড মতিন, কমরেড তোয়াহা, কমরেড আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে পাবনার আত্রাইয়ে রীতিমতো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ হলো। এই কমরেডরা বঙ্গবন্ধুকে উত্খাত করে তাদের ভাষায় ‘সর্বহারার শাসন’ কায়েম করতে চায়। কিউবার কাছে বাংলাদেশ পাট বিক্রি করেছে, এই অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে খাদ্য সহায়তা বন্ধ করে দিল। স্বাভাবিকভাবেই দেশে চালের দাম বৃদ্ধি পেলে কমরেডরা সাধারণ মানুষকে উসকানি দেওয়ার জন্য দেয়ালে স্লোগান লিখল—‘আশি টাকা চালের দাম হরে কৃষ্ণ হরে রাম। ’

বঙ্গবন্ধু এসব সমস্যা সামাল দিতে যখন জেরবার তখন তাঁরই কিছু আস্থাভাজন কাছের মানুষ তাঁকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই ষড়যন্ত্রে শীর্ষে আছেন বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সতীর্থ খন্দকার মোশতাক, বেশ কিছু সামরিক কর্মকর্তা, ছিলেন আমলাদের শীর্ষ কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম চাষী। সব কিছু সম্পর্কে অবহিত ছিলেন সেনাবাহিনীর উপপ্রধান জেনারেল জিয়া। ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তবায়িত হলো ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। সেই কালরাতে বঙ্গবন্ধুর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে তাঁকেসহ পরিবারের সদস্যদের ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করল। একই রাতে আরো দুটি বাড়িতে হামলা করে বঙ্গবন্ধুর আরো ডজনখানেক নিকটাত্মীয়কে হত্যা করে ঘাতকরা। ঘটনাচক্রে বিদেশে অবস্থানের কারণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা আর শেখ রেহানা। এরপর শুরু হলো বাংলাদেশের রাজনীতির আরেক কালো অধ্যায়।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে কিছুদিনের জন্য রাষ্ট্রের ক্ষমতা দখল করলেন খন্দকার মোশতাক। তাঁরই নির্দেশে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে ৩ নভেম্বর জিয়ার একদল সহকর্মী হত্যা করল জাতীয় চার নেতাকে। সব অপকর্ম অন্যকে দিয়ে করিয়ে জিয়া ৭ নভেম্বর মোশতাককে হটিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করলেন। সাক্ষীগোপাল রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করলেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এ এস এম সায়েমকে। কিছুদিন পর জিয়া তাঁকেও অস্ত্রের মুখে হটিয়ে নিজেই হয়ে গেলেন প্রেসিডেন্ট। নিষিদ্ধ করলেন আওয়ামী লীগের রাজনীতি আর বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করা। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলে নির্ঘাত কারাগারে। ১৯৭৭ সালে জিয়া রেফারেন্ডামের নামে এক অদ্ভুত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আয়োজন করলেন, যেখানে তিনিই একমাত্র প্রার্থী। তাঁকে রাষ্ট্রপতি চাইলে ‘হ্যাঁ’ বাক্সে ভোট দিতে হবে। অনেক কেন্দ্রে বাক্স ছিল ওই একটিই। দিন শেষে বলা হলো জিয়া ৯৯ শতাংশ মানুষের সমর্থন পেয়েছেন। তিনিই বিশ্বে সম্ভবত একজন বিরল ব্যক্তিত্ব, যিনি একাধারে রাষ্ট্রপতি, সেনাবাহিনীর প্রধান ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ছিলেন। ক্ষমতায় থেকে গঠন করেছিলেন তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক দল বিএনপি। তাঁর সবচেয়ে বড় অপরাধ তিনি সংবিধান সংশোধন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার বন্ধ করে তাঁদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন। সংবিধানের অন্যতম স্তম্ভ ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ বাতিল করে দিয়েছিলেন। একাত্তরের খুনিদের শিরোমণি জামায়াতের আমির পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন।

১৯৮১ সালের ৩০ মে জিয়া চট্টগ্রামে নিজে একদল সেনা সদস্যের হাতে নিহত হলে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন জেনারেল এরশাদ। মাঝখানে কিছুদিন জিয়ার উপরাষ্ট্রপতি সাত্তার ক্ষমতায় ছিলেন। এরশাদের সময় বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুক, রশিদ, হুদাসহ অন্যরা দেশে ফিরে আসেন এবং ফ্রিডম পার্টি নামের একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন এবং কর্নেল ফারুক (অব.) এরশাদের সঙ্গে ১৯৮৬ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ফ্রিডম পার্টির স্লোগান ছিল—‘পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। ’ বিএনপির অঙ্গসংগঠনগুলো সম্প্রতি এই স্লোগান দেওয়া শুরু করেছে। ফ্রিডম পার্টির অঙ্গসংগঠন হিসেবে গঠিত হয় ‘আগস্ট বিপ্লব বাস্তবায়ন কমিটি’। ১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট তারা ধানমণ্ডির বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বরের বাড়িতে সশস্ত্র হামলা চালায়। এর পরও শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য অসংখ্যবার চেষ্টা করেছে। সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলা। এই হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জেনারেল জিয়ার পুত্র তারেক রহমান, যিনি এখন একজন ব্রিটিশ নাগরিক এবং আইনের দৃষ্টিতে পলাতক।

এরশাদের পতনের পর এটি ধারণা করা হয়েছিল, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের ষড়যন্ত্রমূলক গোপন আঁতাত হওয়ার ফলে তা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ ভোট পেয়েছিল ৩০.০৮ শতাংশ, আসন পেয়েছিল ৮৮টি আর বিএনপি ভোট পেয়েছিল ৩০.৮১ শতাংশ আর আসন ১৪৪টি। জামায়াত বিএনপির সঙ্গে আঁতাতের ফলে ১২.১৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ১৮টি আসনে জয়ী হয়েছিল। এটি ছিল ইতিহাসে জামায়াতের সর্বাধিক সাফল্য। বিএনপি তাদের সহায়তা নিয়ে সরকার গঠন করে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ক্ষমতায় থাকতে চাইলে দেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এক গণ-অভ্যুত্থানের কারণে তা সফল হয়নি। তার পরও ১৯৯৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া এক নির্বাচনী তামাশায় ফ্রিডম পার্টির নেতা বঙ্গবন্ধুর খুনি আবদুর রশিদকে কুমিল্লার একটি আসন থেকে জিতিয়ে এনে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বানান। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার শুরু হওয়ার আগেই তিনি পালিয়ে পাকিস্তান চলে যান বলে ধারণা করা হয়। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ২১ বছর পর নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে। এই মেয়াদে সরকার উন্মুক্ত আদালতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার সম্পন্ন করে। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণভাবে মেয়াদ শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি আবার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। ২০০৮-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবার বিজয়ী হয়। এই নিয়ে আওয়ামী লীগ টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আছে। এই তিন মেয়াদে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন অন্য উচ্চতায়। তিনি এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একজন রাষ্ট্রনায়ক।

আগামী নির্বাচন ২০২৩ সালের শেষের দিকে হওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে সার্বিক বিচারে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ফ্রিডম পার্টির স্লোগান তুলে হুংকার দিয়েছে—‘পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। ’ একে তারা জায়েজ করেছে পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বরের সঙ্গে। তখন জিয়ার সাঙ্গোপাঙ্গ ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ, মেজর হুদাকে হত্যা করে। কর্নেল তাহেরসহ হাজার দুয়েক মুক্তিযোদ্ধা সৈনিককে কয়েক দফায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। ঠিক একইভাবে বিএনপির মহাসচিব এই স্লোগানকে জায়েজ করার চেষ্টা করেছেন। বিএনপি সব সময় দেশের মানুষকে নিরেট বোকা মনে করে। আর এখন তো কিছু টোকাই পার্টি আর ব্যক্তির সমর্থন পেয়ে তাদের সাহস দুঃসাহসে পরিণত হয়েছে।

ষড়যন্ত্রের সর্বশেষ আলামত পলাতক কর্নেল আবদুর রশিদ (অব.)-এর কন্যা মেহনাজ রশিদের দেশে ফিরে ঢাকার একটি অভিজাত ক্লাবে চাকরি নেওয়া। তিনি হত্যার উদ্দেশ্যে ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের ওপর হামলা করার দায়ে অভিযুক্ত। জামিন নিয়ে দেশ থেকে সম্ভবত পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিলেন। ইমিগ্রেশনকে ফাঁকি দিয়ে কিভাবে পালালেন আবার কিভাবে দেশে ফিরলেন, তা খতিয়ে দেখা দরকার। সংবাদমাধ্যমে তাঁর এই দেশে ফেরা এবং চাকরি নেওয়ার খবর প্রচারিত হলে তিনি চাকরিচ্যুত হয়েছেন ঠিকই; কিন্তু তাঁর বাসায় নাকি অনেকের যাতায়াত বেড়ে গেছে। শমসেরনগরে আন্ত নগর ট্রেন পারাবত এক্সপ্রেসে আগুন, সীতাকুণ্ডের কনটেনাইর ডিপোতে বিস্ফোরণ, মিরপুরে তৈরি পোশাক কারখানায় অসন্তোষের সূত্র ধরে পুলিশের তিনটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ আর বিজিবির গাড়ি ভাঙচুর—কোনো ঘটনাই খাটো করে দেখতে চাই না। আলামত তেমন ভালো মনে হচ্ছে না। সময় থাকতে সাবধান হওয়া ভালো।

লেখক : আব্দুল মান্নান বিশ্লেষক ও গবেষক

Share This Article