পদ্মা সেতু: চীনের কূটনৈতিক বিজয়

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ রাত ০৯:৪০, শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০২২, ১০ আষাঢ় ১৪২৯
ফাইল ফটো
ফাইল ফটো

নিজস্ব প্রতিবেদক


পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হচ্ছে আগামীকাল। বাংলাদেশের মানুষ আবেগে উচ্ছ্বসিত। বাংলাদেশ মনে করছে মুক্তিযুদ্ধের পর এটি তাদের বড় অর্জন। নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এটি বাংলাদেশের গৌরব এবং অহংকারের প্রতীক বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশের পাশাপাশি চীনও পদ্মা সেতু নিয়ে উচ্ছ্বসিত। এই পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ করেছে একটি চীনা কোম্পানি। শুধু তাই নয়, চীন এই পদ্মা সেতু নির্মাণে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতাও করেছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে বাংলাদেশস্থ চীনা দূতাবাস একাধিক সংবাদ সম্মেলন করেছে এবং এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পদ্মা সেতু নির্মাণে চীনও যে খুশি সেটা প্রকাশ করতে এতোটুকু কার্পণ্য করেনি।

 

এমন এক সময় পদ্মা সেতু উদ্বোধন হচ্ছে যখন শ্রীলঙ্কা অর্থনৈতিকভাবে বিপদাপন্ন এবং দেউলিয়াপ্রায়। আর শ্রীলঙ্কার এই দুরবস্থার জন্য অনেকে চীনকে দায়ী করছে। কোনো কোনো অর্থনীতিবিদ মনে করছেন যে, চীনের ঋণের ফাঁদে পড়ে শ্রীলংকার আজকের এই অবস্থা। এ কারণেই বিভিন্ন দেশে চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক কূটনীতির ব্যাপারে এখন কিছুটা হলেও সংকোচ বোধ করছিলো। বিশেষ করে চীনের আগ্রাসী ঋণ শেষ পর্যন্ত একটি দেশকে অর্থনৈতিকভাবে যে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে সেটি সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলংকার ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে। চীন যখন তার অর্থনৈতিক কূটনীতি নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠিক সেই সময় পদ্মা সেতু চীনের অর্থনৈতিক কূটনীতির জন্য একটি বড় বিজ্ঞাপন হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে বলে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

চীন গত এক দশক ধরেই সারা বিশ্বে টাকার ফেরিওয়ালা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিভিন্ন দেশকে তারা দেদারছে ঋণ দিচ্ছে। এই ঋণ দিয়ে মূলত তারা ওই দেশগুলোর ওপর এক ধরনের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে বলেও কূটনৈতিক মহল মনে করেন। বাংলাদেশের সঙ্গে গত এক দশকে চীনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক অনেকখানি বেড়েছে। এই নিয়ে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যেও নানা রকম সংশয় দেখা দিচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন যে, বাংলাদেশ যেন চীনের ঋণের ফাঁদে না পড়ে, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। তবে বাংলাদেশের সরকার সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, বাংলাদেশ চীনের ঋণের ফাঁদে নেই এবং চীন বাংলাদেশের প্রধান ঋণদাতা রাষ্ট্র নয়। তারপরও শ্রীলঙ্কার ঘটনা বিশ্বে চীনের আগ্রাসী অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর কিছুটা হলেও একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন রেখা এঁকে দিয়েছে। এই বাস্তবতায় পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে, এটি চীনা কারিগরি সহায়তায় নির্মিত। এ কারণে চীন আনন্দিত এবং উচ্ছ্বসিত।

তারা মনে করছে যে, পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে তাদের যে নীরব অর্থনৈতিক যুদ্ধ, এই যুদ্ধের একটি বিজয় হলো পদ্মা সেতু। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বিশ্বব্যাংক যখন অর্থায়নে অস্বীকৃতি জানায়, তখনই চীন এগিয়ে আসে এবং চীনের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম এই পদ্মা সেতুর মহাযজ্ঞ নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেছে। এটি আন্তর্জাতিকভাবে চীনের সক্ষমতার একটি প্রতীক বলেও তারা মনে করছে। এর ফলে অন্যান্য দেশগুলো চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী হবে, বিভিন্ন ধরনের মেগা প্রকল্পে চীনা বিনিয়োগ এবং কারিগরি সহায়তা নিতে উৎসাহী হবে। এটি চীনের জন্য একটি বড় বিজয় বলে তারা মনে করছেন।

Share This Article


মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর

কোনো প্রার্থীর প্রচারে থাকলে এমপিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর

থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

পাটশিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে : নানক

বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা

ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ভারত

ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

র‌্যাবের ১২তম মুখপাত্র হলেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম

প্রচণ্ড গরমে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সতর্ক থাকার পরামর্শ

প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড যাচ্ছেন আজ

ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির

বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী