ইভিএম প্রযুক্তি যত্নের সাথে করা: স্বচ্ছ নির্বাচন সম্ভব!
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করতে ‘দেড়শ’ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।কিন্তু কারচুপির শঙ্কা নিয়ে এরই মধ্যে আপত্তি তুলেছে বিএনপিসহ কয়েকটি বিরোধী দল।
তবে এবার ভিন্ন কথা শুনালেন 'এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশে'র আয়োজনে "অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ও ইভিএম" শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেয়া বিশ্লেষকরা।
আলোচনা সভায় ইভিএমে কারচুপির সুযোগ নেই বরং ব্যালটের চেয়েও স্বচ্ছ নির্বাচন সম্ভব বলে মত দেন বিশ্লেষকরা। অংশগ্রহণমূলক তারা বলেন,নির্বাচনের জন্য শুধু রাজনৈতিক দলই নয় ভোটারদেরও আস্থা ফেরাতে হবে ইভিএমে।
বৈঠকে প্রযুক্তিবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ইভিএম প্রযুক্তি যত্নের সাথে করা। কারিগরি দিক নিয়ে যাদের সন্দেহ আছে তাদের উচিত টেকনিক্যাল মানুষ নিয়ে এসে পরীক্ষা করা।
ড. জাফর ইকবাল আরও বলেন, চেক না করে নন পলিটিক্যাল কথা বলা উচিত বলে আমি মনে করি না। যেমন আমি একটা বক্তব্য শুনেছি যে ইভিএমে পুনর্গণনা করা যায়না। কথাটার মানে কী আমি বুঝলাম না। ক্যালকুলেটরে চারের সঙ্গে পাঁচ দিয়ে গুণ করলে আমি ২০ পাবো, আমি একশবার পুনর্গণনা করলে একশবারই ২০ পাবো, তাহলে কেনো আমার যন্ত্রের ভেতরে পুনর্গণনা থাকবেনা?
ইভিএম মেশিনের স্বচ্ছতায় ইসির উপর আস্থা রাখার কথা বলেন সাবেক কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন।
অপরদিকে, আরেক সাবেক কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাখাওয়াত হোসেন বলেন, জনগণের আস্থা না ফেরাতে পারলে ইভিএমে ভোট যত সুষ্ঠু হউক তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
তবে বিএনপির সবকিছুর উপর আস্থাহীনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে আলোচনার টেবিলে।রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হারুন অর রশীদ বলেন, বিএনপি তো কিছুতেই বিশ্বাস করে না, কোথাও তার আস্থা নেই, একটা জায়গায় বিশ্বাস করে তা হল তত্বাবধায়ক সরকার। আর এটা তো ব্যাস্টিার মওদুদই নষ্ট করেছেন চতুর্থ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে।
বৈঠকে ভোটার ভেরিফায়েড পেপার অডিট ট্রেইলিং-ভিভিপ্যাট, আঙ্গুলের ছাপ জটিলতাসহ নানা বিষয় উঠে আসে। আস্থাহীনতার সংকট দূর করা ইসির একার পক্ষে সম্ভব নয় বলেও মত দেন আলোচকরা।