জামালপুরে ৬,০০০ মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদন হাব তৈরির পরিকল্পনা সরকারের

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:৫৭, বুধবার, ৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

একইসঙ্গে, এ খাতকে আরও শক্তিশালী করতে দ্রুতই নতুন ‘রিনিউয়েবল এনার্জি পলিসি’ তৈরি হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নিরোধ চন্দ্র মন্ডল।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার জামালপুরে ৫,০০০ থেকে ৬,০০০ মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদন হাব তৈরির পরিকল্পনা করেছে। একইসঙ্গে, এ খাতকে আরও শক্তিশালী করতে দ্রুতই নতুন 'রিনিউয়েবল এনার্জি পলিসি' তৈরি হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নিরোধ চন্দ্র মন্ডল।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ও ইডকলের যৌথ উদ্যোগে 'রাউন্ডটেবিল ডিসকাশন অন রুফটপ সোলার প্রোজেক্টস' শীর্ষক আলোচনায় তিনি বলেন, "নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ বিশেষ করে সোলার রুফটাপকে উৎসাহিত করতে আমদানিকৃত প্রযুক্তি ও যন্ত্রাংশের ওপর ট্যারিফ, ডিউটি কমানোর জন্য নতুন পলিসি করা হচ্ছে , এসআরও এর মাধ্যমে এটি শীঘ্রই জানানো হবে।"

নীরোদ চন্দ্র মন্ডল বলেন, "ইতোমধ্যে জামালপুরের ইসলামপুর যমুনা নদীর চরে ২০,০০০ একর জমির উপর বিশ্বব্যাংক একটি ফিজিবিলিটি স্টাডি (সম্ভাব্যতা যাচাই) সম্পন্ন করেছে। বিশ্বব্যাংক ইতোমধ্যে গবেষণা করে একটি ইতিবাচক প্রতিবেদন দিয়েছে। পরিবেশের বিষয়ে ক্রিটিকাল ইস্যুগুলো (জটিল বিষয়) নিয়ে তারা যে স্টাডি করেছে, তার ইতিবাচক ফলাফল পেয়েছি।"

"আমরা আশা করছি, শুধু জামালপুরের এই চরাঞ্চলেই ৫ থেকে ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবো। এছাড়াও, বেজা (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ) জানিয়েছে– চাঁদপুরের হাইমচরের কিছু জায়গায় তারা একটি হাব করতে চায়।"

নীরোদ চন্দ্র মন্ডল আরও বলেন, "আমাদের দেশে রিনিউয়েবন এনার্জি উৎপাদন করা বেশি সমস্যা নয়, কিন্তু এটি ব্যবস্থাপনা করাটাই আমাদের জন্য বেশি কঠিন। এরজন্য যুক্তিসঙ্গত দামে স্টোরেজ তৈরির কাজ চলছে। আশা করি, সমস্যাগুলো দূর করা সম্ভব হবে।"

সরকার বিদ্যুৎ থেকে ক্রমান্বয়ে ভর্তুকি তুলে দিলে দেশের মানুষ নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎতের দিকে ঝুঁকবে বলে জানান বিদ্যুৎ,জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব। কারণ সোলার বা নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ তুলনামূলক কম দামে উৎপাদন করা যাচ্ছে। ফলে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ খাতের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ প্রকাশ করেন নীরোদ চন্দ্র মন্ডল।

তিনি জানান, "ইতোমধ্যে পাওয়ার ডিভিশন নেট মিটারিং নিয়ে একটি সার্কুলার দিয়েছে, যা নেট মিটারিংয়ের সাথে কন্ট্রাডিক্ট করে। সেই কন্ট্রাডিক্টশন বা বৈপরীত্যগুলোকে দূর করার জন্য আমরা কাজ করব। যেমন— সিঙ্গেল ফেজ মিটারিং করা যাবে কিনা গাইডলাইনে এমন কিছু বলা নেই। কিন্তু সার্কুলারে আছে সিঙ্গেল ফেজে কেউ করতে চাইলে করতে পারবে। ৭০ শতাংশের একটি বাধা  আছে, আমরা কেস টু কেস আলোচনা করে যদি দেখি ডিস্ট্রিবিউশন ও উৎপাদনে প্রভাব পড়বে না, তবে এটিও তুলে দেওয়া হবে। সোলার রুফটপে ৭০ শতাংশের উপরে ক্যাপাসিটি থাকলে, সেটিরও সুযোগ দেওয়া হবে। ১০ মেগাওয়াটের বেশি (উৎপাদন/ সরবরাহ) করা যাবে না, এমন একটি বাধা আছে। এবার সেটিও তুলে দেওয়া হবে।"

তিনি বলেন, "আর কারো যদি বড় রুফ স্পেস থাকে, যা চাহিদার সাথে কোনোভাবে সম্পর্কিত নয়— সেক্ষেত্রে আমরা আইপিপি প্রজেক্ট করব। ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাড়ে ৩ মেগাওয়াটের একটি আইপিপি প্রজেক্ট করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭২টি ভবনের এ প্রজেক্ট আছে, বেঙ্গলগ্রুপ এই প্রজেক্টের কাজ পেয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা রুফটপ ও পাওয়ার প্রজেক্টের যেকোনো সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে ইতিবাচক।"

হাইড্রোজেন এনার্জির বিষয়ে নীরোদ চন্দ্র মন্ডল বলেন, "অনেকেই এই এনার্জির কথা বলেন, কিন্ত এতে আমি আশাবাদী নই। কারণ এতে অনেক জটিলতা আছে। যেমন— হাইড্রোজেন উৎপাদন সম্ভব, কিন্তু এটি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা অনেক কঠিন। কিন্তু 'ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার মাস্টার প্ল্যান' (আইইপিএমপি)-এ রুফটপ পাওয়ার সাপ্লাইয়ে অনেক জোর দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে– ২০৫০ সালের মধ্যে ১২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।"

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় রুফটপ করছে, সরকারি ভবনগুলোতেও রুফটপ সোলার স্থাপনের সার্কুলার দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

ইউইটিলিটি সাপ্লাইয়ারদেরকে রুফটপ সোলারের ক্ষেত্রে এখন সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে উল্লেখ করে নীরোদ চন্দ্র বলেন, "এর কারণ হচ্ছে তাদের বিদ্যুতের দাম আর রুফটপে উৎপাদিত বিদ্যুতের দামে পার্থক্য রয়েছে। বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো পিডিবি থেকে অনেক কম দামে বিদ্যুৎ কিনে বেশি দামে গ্রাহকের কাছে বিক্রি করে, যার কারণে তারা নেট মিটারিংয়ে সহযোগিতা করতে চায় না, নিজেদের লাভের জন্য নেট মিটারিংয়ে নিরুৎসাহিত করছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সোলার প্রজেক্টে।"

এর সমাধানে সরকার ইউটিলিটি প্রতিষ্ঠানগুলোকে কিছু প্রণোদনা দিয়ে এ বিষয়ে নেট মিটারিংয়ে আগ্রহী করার চেষ্টার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ইডকল যেভাবে নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে

রাউন্ডটেবিলে মূল প্রবন্ধ উপস্থানের সময় ইডকলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (নবায়নযোগ্য শক্তি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ১ কিলোওয়াট সোলার রুফটপ বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্রিড বিদ্যুতের তুলনায় ৫.৫ টাকা কম খরচ হয়।

গ্রিড বিদ্যুতের তুলনায় গ্রাহকের বিল প্রায় অর্ধেক কম আসার পাশাপাশি, ভোক্তা অতিরিক্ত সৌরবিদ্যুৎ গ্রিডের কাছে বিক্রিও করতে পারছে বা নেট মিটারিং করতে পারছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

দেশের ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ সোলার রুফটপ বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাব্যতা আছে জানিয়ে সিরাজুল ইসলাম বলেন, "ইতোমধ্যে ইডকল ৬০ মেগাওয়াট সোলার রুফটপ স্থাপনে অর্থায়ন করেছে, ভোক্তাকে ৮০ শতাংশ ঋণ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩৩টি ক্লায়েন্ট লোন বিতরণ করেছে ইডকল, যার পরিমাণ ৩৫০ কোটি টাকা।"

"এই মুহূর্তে আমাদের হাতে পাইপলাইন প্রকল্প আছে ১০৮ মেগাওয়াট। এগুলাতে অর্থায়ন করা হলে পাইপলাইন প্রজেক্টসহ মোট ১,০০০ কোটি টাকা অর্থায়ন করা হবে।"

সিরাজুল ইসলাম বলেন, "প্রকল্পের ৮০ শতাংশ খরচ টার্ম লোন (দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ) হিসেবে ১০ বছরের জন্য দেওয়া হয় ইডকল থেকে। প্রথম ১ বছর প্রিন্সিপাল মরেটোরিয়াম থাকে, অর্থাৎ শুধু সুদ পরিশোধ করলেই হয়। প্রজেক্টের কারণে বিদ্যুৎ বিলে কেমন প্রভাব পড়ছে, তা বোঝানোর জন্য পেমেন্ট সিস্টেম মাসিক হিসেবে করা হয়।"

"ইডকলের সুদহার ৫-৫.৫ শতাংশ। যেহেতু আমাদের আলাদা করে সিকিউরিটি নেওয়ার সুযোগ কম, তাই ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ গ্যারাটি হিসেবে নেওয়া হয়," যোগ করেন তিনি।

আরও বলেন, "১ মেগাওয়াটের একটি প্রজেক্টে যদি ৯৬ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, সে হিসেবে এই বিদ্যুৎ যদি আমরা আরইবি থেকে কিনি, তাহলে বর্তমান বাজার মূল্য ১০.২৪ পয়সা হিসেবে আমাদের মাসে খরচ পড়বে ৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। কিন্তু একই পরিমাণ বিদ্যুৎ যদি আমাদের ইডকলের রুফটপ থেকে সোলার বিদ্যুৎ হিসেবে উৎপাদন হয়, এতে গ্রাহকের খরচ বেঁচে যাবে ৩ লাখ ৯২ হাজার টাকা। অর্থাৎ, প্রথম দশ বছরে বেঁচে গেল ৪৭ লাখ টাকা। আর পরবর্তী ১০ বছর, যখন থেকে আর ঋণ পরিশোধ করতে হবে না— তখন বেঁচে যাবে সাড়ে ১১ কোটি টাকা।"

এসব প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ও কেএফডব্লিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক থেকে ইডকল  তহবিল পায়। ২০২৫ সালের মধ্যে সংস্থাটির লক্ষ্য রয়েছে– ৩০০ মেগাওয়াট সোলার রুফটপ প্রজেক্টে অর্থায়ন করার। এমনিই জানালেন সিরাজুল ইসলাম।

ইডকলের নির্বাহী পরিচালক ও সিইও আলমগীর মোরশেদ বলেন, ইডকল ১৯৭৭ সাল থেকেই পাওয়ার সেক্টরের সাথে জড়িত। বাংলাদেশের যে সব জায়গায় বিদ্যুৎ ছিল না, সেসব জায়গায় ৬০ লাখ সোলার প্যানেল স্থাপন করে ইডকল।

তিনি বলেন, "একটি উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে শুধু জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভর করে চলা সম্ভব না। প্রতিবছর আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার অনেক বড় একটি অংশ ব্যয় হয় জ্বালানি খাতে। তাই আমাদের রিনিউয়েবল এনার্জিতে অনেক বিনিয়োগের প্রয়োজন।"

"সরকারের লক্ষমাত্রা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ, ২০৪০ সালে ৪০ শতাংশ ক্লিন এনার্জি বা নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ হতে হবে আমাদের। সোলার এনার্জি ব্যাবহারের অনেক সম্ভাবনা আছে। এরজন্য দরকার সচেতনতা তৈরি ও প্রযুক্তির খরচ আরও কমিয়ে আনতে হবে। আমাদের এখন অনেক বিনিয়োগ দরকার," যোগ করেন তিনি।

বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় নবায়নযোগ্য শক্তি

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের নির্বাহী সম্পাদক ও জ্বালানি বিশ্লেষক শাহরিয়ার খান বলেন, আমেরিকা, সৌদি আরব, অস্টেলিয়া, চীন, নেদারল্যান্ডস, ভারতসহ সারা পৃথিবীই এখন নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ঝুঁকছে।

তিনি বলেন, "আগে ১ ইউনিট সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ছিল প্রায় ৭০ টাকার মত। কিন্তু তা এখন পরিবর্তন হয়ে গেছে। বিশ্বজুড়ে সোলার পাওয়ারের  ব্যাবহার অনেক বেড়ে গেছে। সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের মত তেল সমৃদ্ধ দেশগুলোতেও সোলার পাওয়ারের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বাড়ছে।"

তিনি বলেন, "সরকার যতই বিদ্যুৎ উৎপাদন করুক, কিন্তু  শুধু তা দিয়ে চাহিদা মেটানো সম্ভব না। যেমন– সাম্প্রতির এই হিট ওয়েভে ব্যাপকভাবে এসির ব্যাবহার বেড়ে গেছে। এখন রুফটপে সোলার প্যানেল ব্যাববহার করে অন্তত বাসা-বাড়ির চাহিদা মেটানো সম্ভব। টেসলা সোলার পাওয়ার দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে, নেপালের মত দেশে সোলার পাওয়ার দিয়ে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে পানি গরমের কাজ করা হচ্ছে।"

সরকারের সহায়তা প্রয়োজন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্বালানি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও পরিচালক এসএম নাসিফ শামস বলেন, "আমাদের মাঝে এক সময় অনেক কিছু ধোঁয়াশা ছিল সোলার রুফটপ নিয়ে, সেটি এখন কেটে গেছে। ব্যস্ততম শহরে সোলার রুফটপ ও সবুজায়ন একসাথে করতে হবে।"

"শহরে বাসার ছাদের বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে, কীভাবে সবুজায়ন করে একই সাথে ব্যবহার করা যায় সে প্রযুক্তি নিয়ে ভাবতে হবে। ইডকল ছাড়াও অন্যান্য ব্যাংককেও এখাতে আর্থিক সাপোর্ট দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসতে হবে," যোগ করেন তিনি।

নাফকো ফার্মার হেড অব ইঞ্জিনিয়ারিং রাকিবুল আহসান বলেন, "সোলার এনার্জি থেকে অনেক মসৃণ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছি, পাওয়ার কোয়ালিটি খুবই ভালো। আমি ৫০ শতাংশ সোলার বিদ্যুৎ ব্যবহার করছি, মাস শেষে নেট মিটারিং সুবিধাও পাচ্ছি। সোলার বিদ্যুৎতের ব্যবহার দেখে বিদেশি ক্রেতারাও আমাদের অনেক প্রশংসা করছেন, পণ্য কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।"

সামুদা গ্রিন এনার্জির হেড অব অপারেশন্স পরিতোষ মজুমদার বলেন, "তবে সোলার রুফটপ স্থাপন প্রযুক্তি বিদেশি থেকে আমদানি করতে অনেক বেশি ট্যারিফ দিতে হচ্ছে, যন্ত্রপাতির উপর অনেক বেশি ডিউটি দিতে হচ্ছে। যার কারণে প্রতিবেশী অনেক দেশের তুলনায় আমাদের দেশে সোলার রুফটপ স্থাপনে খরচ হচ্ছে বেশি।"

এছাড়াও আরইবি সাথে নেট মিটারিং, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ গ্রিডে দেওয়ার পর ইউনিট সমন্বয়ে সমস্যা হচ্ছে, এক্ষেত্রে নেট মিটারিংয়ে পিডিপি ও আরইবি সমন্বয় করছে না বলে জানান  পরিতোষ মজুমদার। এতে রুফটপ সোলার স্থাপনে ইন্ডাস্ট্রিগুলো আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

দেশের জ্বালানি খাতের একমাত্র ম্যাগাজিন এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের সম্পাদক মোল্লা এম আমজাদ হোসেন বলেন, "বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে সোলার রুফটপ স্থাপনে নিরুৎসাহিত করছে, নেট মিটারিং সুবিধা দিতেও তারা আগ্রহী নয়। বরং অসহযোগিতা করছে। কিন্তু এদিকে বিদেশি ভাইয়েরা ইদানিং গার্মেন্টস রপ্তানিতে কোম্পানিগুলোকে চাপ দিচ্ছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিদ্যুৎ ব্যবহার করার জন্য।"

নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতকে আরো সহজতর করার জন্য সরকারের প্রতি একটি 'নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন অ্যাক্ট' করার আহ্বান জানান নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ওয়ার্ল্ড ফিউচার কাউন্সিলের কাউন্সিলর দীপল বড়ুয়া।

সমাপনী বক্তব্যে ইডকলের নবায়নযোগ্য শক্তির প্রধান এনামুল করিম পাভেল বলেন, "আমাদের সোলার রুফটপ মার্কেট চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, শুধু ইডকল না অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে। এনার্জি স্টোরেজ করা গেলে আমরা আরও বেশি সুবিধা পাবো আগামীতে।"

অনুষ্ঠানে নাফকোর মহাব্যবস্থাপক (অর্থ ও হিসাব) মিজানুর রহমান; এসএসআরইএল-এর চিফ অপারেটিং অফিসার মেজানুর রহমান; এক্সওএলএআরইএন-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার শাহীন আজাদ; রাইজিং গ্রুপের চিফ সাসটেইনেবিলিটি ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান; ইডকলের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদুর রহমান, সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আসাদুজ্জামান এবং ব্যবস্থাপক রিয়াদ বিন শহীদ উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের (টিবিএস) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকটি পরিচালনা করেন টিবিএসের নির্বাহী সম্পাদক শরিয়ার খান।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article

পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছে বিএনপি

ইন্ডিয়া আউট ও জামায়াত প্রসঙ্গে বিএনপিকে গণতন্ত্র মঞ্চের নানা প্রশ্ন

ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত

ভারত ও চীনকে যুক্ত করা গেলে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান সম্ভব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভ্যাট বসলে মেট্রোরেলের সুনাম নষ্ট হবে: ওবায়দুল কাদের

স্বাস্থ্যসেবার আওতাধীন খাতে ইউজার ফি আদায়ে নীতিমালার সুপারিশ

সুইজারল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার

কর্মসূচির আগে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনে চাপ বিএনপির মিত্রদের

‘কংগ্রেসম্যানদের সই জালকারী বিএনপি একটা জালিয়াত রাজনৈতিক দল’

গুরুত্বপূর্ণ সফরে ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিরূপ প্রভাব ঠেকাতে আসছে আইন : প্রতিমন্ত্রী

যত মার্কিন কর্মকর্তাই আসুন বিএনপির আশাবাদী হওয়ার ন্যূনতম কারণ নেই!

বিএনপির মহাসচিব নিয়োগে তারেকের সাথে তৃণমূলের মতবিরোধ!

জয় আমার হাতে চুমু দিয়েছে, সিনিয়র না হলে থাপড়াতাম: মিষ্টি

‘ফিরে এসেছিলাম বলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি’

অবশেষে জানা গেল নরেন্দ্র মোদি কেন সংবাদ সম্মেলন করেন না

সর্বোচ্চ আয় করা ক্রীড়াবিদ রোনালদো, তিনে মেসি

ডোনাল্ড লু'র যে বক্তব্যে কপালে চোখ সরকারবিরোধীদের!

মিশা-ডিপজলের কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে নিপুণের রিট

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী তৎপরতার তথ্য পেলেই অভিযান : র‍্যাব


বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে

নুরের সঙ্গে সাক্ষাৎ: বিস্ফোরক তথ্য দিলেন সাফাদি

যে কারণে বাংলাদেশের নির্বাচনে আমেরিকার নাক গলানো উচিত নয়: ইন্ডিয়া টুডে’র নিবন্ধ

নোবেল জয়ী ইউনূস : একজন সাদা মানুষের কালো অধ্যায়

গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের মাঝে অনাস্থা তৈরিতে দায়ী যে দুই সংবাদ মোড়ল

সাংবাদিকতার নামে শিশুকে এক্সপ্লয়েট করা জঘন্য অপরাধ: ড. সেলিম মাহমুদ

দুবাইয়ে আরাভের অঢেল সম্পদের নেপথ্যে কারা

ড. ইউনুসের অর্থপাচার এবং আর্থিক দুর্নীতি ও অন্যান্য অপরাধের বিবরণ

খালেদার জায়গা নিতে চান ফখরুল

চমকে দেওয়া পর্যটন রেল

অতি বাম অতি ডানগুলো সব এক হয়েছে: হানিফ