অ্যাসিডিটি কমবে যেসব উপায়ে

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ০৯:৫৯, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৬ পৌষ ১৪২৯

'বাংলাদেশ' ষড়ঋতুর দেশ। এ ঋতুর পরিবর্তনের পাশাপাশি প্রকৃতিটিও পরিবর্তন হয়। তাইতো বাংলার ঘরে ঘরে বারবারই ফিরে আসে 'শীত'। আর শীত মানেই বাড়তি খাবারের আয়োজন। খাবারের অনিয়মে অ্যাসিডিটির সমস্যাও যেন বাড়িয়েই চলে। অ্যাসিডিটি, বুক জ্বালা, চোঁয়া ঢেকুড়ের সমস্যায় জর্জরিত অনেকেই। অ্যাসিডিটির যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে হলে কিছু পানীয় খেতেই হবে।

 

জেনে নেওয়া জাক অ্যাসিডিটি দূর করার কিছু সহজ উপায়।

ডাবের পানি: শরীর ঠান্ডা করতে দারুণ কাজ করে ডাবের পানি। অ্যাসিডিটিতে ডাবের পানি খেলে বুক জ্বালা থেকে নিমেষে রেহাই পাবেন।


গ্রিন টি বা হার্বাল টি: অ্যাসিডিটি হলে কোল্ড ড্রিঙ্ক খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এতে লাভের থেকে ক্ষতি বেশি হয়। তার বদলে গ্রিন টি বা হার্বাল টি খান। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট অ্যাসিডিটির কষ্ট থেকে রেহাই দেবে আপনাকে।

মৌরির পানি: ডায়রিয়া কিংবা পেটে জ্বলুনি হলে মৌরি সবচেয়ে সহায়ক। মৌরি বীজ তাজা কিংবা ভাজা দুভাবেই খাওয়া যেতে পারে। তবে আগের রাতে এক কাপ পানিতে এক চামচ মৌরি ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এই পানি খেলে অ্যাসিডিটি দূর হয়।

জিরাপানি: বাজার চলতি সফট ড্রিংকস জিরাপানি কিন্তু না। বাড়িতে ২ চা চামচ জিরা ২ কাপ পানিতে দশ মিনিট ফুটিয়ে নিন। হালকা গরম অবস্থায় এই পানি খেলে পেটে জ্বালাপোড়া তাৎক্ষণিকভাবে দূর হয়।

দুধ: ঠান্ডা দুধ খুবই উপকারী। যদি আপনার অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে, তবে প্রতিদিন এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ খান।

ধূমপান: নিয়মিত ধূমপান করলে অ্যাসিডিটির প্রবণতা বাড়ে। যদি আপনার ধূমপান করার অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে অবিলম্বে সিগারেট খাওয়া কমান। অ্যাসিডিটির প্রকোপও কমবে।

মশলা: অতিরিক্ত তেল মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। যদি বার বার অ্যাসিডিটি হতে থাকে তবে আচার, ঝাল-মশলাদার চাটনি, ভিনিগার এড়িয়ে চলুন।

খাওয়ার অনিয়ম: অধিকাংশ সময় বিশেষ কোনও খাবার থেকে নয়, বরং খাওয়ার অনিয়মের কারণে অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়। তাই কম সময়ের ব্যবধানে অল্প অল্প পরিমাণে খেতে থাকুন।

মিন্ট: মিন্ট ন্যাচারাল কুলার হিসেবে কাজ করে। কিছু পুদিনা পাতা জলে ফুটিয়ে নিন। রোজ খাওয়ার পর এই জল খেয়ে নিন। অ্যাসিডিটির সমস্যা ধীরে ধীরে কমে যাবে।

লবঙ্গ: অ্যাসিডিটির অন্যতম সমস্যা বুক জ্বালা। মুখে লবঙ্গ রাখলে বুক জ্বালার সমস্যা থেকে উপকার পাবেন।

সবজি: সবুজ শাক-সবজি বেশি খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা অনেক কম হবে। সজনে ডাঁটা, বিনস, কুমড়ো, বাঁধাকপি, গাজর, পেঁয়াজকলি জাতীয় সব্জি খেলে সমস্যা অনেক কমে যাবে।

ডিনার: রাতে দেরি করে খাওয়া, অনিয়মিত ঘুমের কারণে হজমের সমস্যা, অ্যাসিডিটি হয়। ডিনারের পরই ঘুমোতে যাবেন না। খাওয়ার অন্তত দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর ঘুমোতে যান।

বিষয়ঃ গবেষণা

Share This Article