ইসরায়েল হবে 'বাইডেনের ভিয়েতনাম’: মার্কিন সিনেটর
শিক্ষার্থী-বিক্ষোভ এবং ভিন্ দেশের যুদ্ধে প্রচুর খরচের প্রশ্নে নির্বাচনের আগে সব মিলিয়ে বেশ বিপাকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
ইসরায়েল হতে পারে 'বাইডেনের ভিয়েতনাম’, এমনই মন্তব্য করেছেন মার্কিন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভরত ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের পক্ষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ইসরায়েলের আগ্রাসন থেকে ফিলিস্তিনের মুক্তির দাবিতে পথে নামছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। শাস্তির মুখে পড়েও পিছু হটছেন না তারা। শিক্ষার্থী-বিক্ষোভ এবং ভিন্ দেশের যুদ্ধে প্রচুর খরচের প্রশ্নে নির্বাচনের আগে সব মিলিয়ে বেশ বিপাকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এর মধ্যে ফিলিস্তিনপন্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স এসব কথা বলেন।
ভারমন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়-শিক্ষার্থীদের ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়েছেন। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বাইডেনের তুলনা করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসনের সাথে, যিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়ে শিক্ষার্থী-বিক্ষোভের জেরে ১৯৬৮ সালে পুনর্নিবাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
স্যান্ডার্স বলেন, এবার ইসরায়েল নিয়ে তার অবস্থানের জন্য যুব সম্প্রদায় ও ডেমোক্র্যাটদের বড় অংশের সমর্থন খুইয়ে বাইডেন হেরে যেতে পারেন আগামী নভেম্বর মাসের নির্বাচনে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরুর হওয়ার পরেই সরাসরি ফিলিস্তিনের হামাসের পাশে দাঁড়ায় পশ্চিম এশিয়ার বেশ কয়েকটি সশস্ত্র সংগঠন। তার মধ্যে হুতিরা অন্যতম। তারা লোহিত সাগরের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক নৌপথে হামলা শুরু করে।
গত কয়েক সপ্তাহে আমেরিকার নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে দু’হাজারের বেশি গ্রেপ্তার হয়েছে। শাস্তির মুখে পড়েছেন যে সব শিক্ষার্থী, তাদের জন্য ইয়েমেনের দরজা খোলা রয়েছে, বার্তা দিয়েছে হুতিরা।
হুতি পরিচালিত সানা ইউনিভার্সিটির এক কর্মকর্তা বলেন, 'ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়ে আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন যারা, তাদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাচ্ছি। ফিলিস্তিনের পাশে এই লড়াইয়ে যত রকমভাবে থাকা সম্ভব, আমরা রয়েছি।' নির্দিষ্ট ইমেইল-ঠিকানা দিয়ে সানা ইউনিভার্সিটির সাথে যোগাযোগ করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।