ডিএনসিসির সঙ্গে চীনের আনহুই প্রদেশের সমঝোতা স্মারক
চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। আজকের এই চুক্তির ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এর ফলে দুই সিটির মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে। এর ফলে দুই শহর একে অপরকে অর্থনৈতিক ও কারিগরি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, পর্যটন বিষয়ে জ্ঞান বিনিময় ও সহযোগিতা করবে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এবং চীনের আনহুই প্রদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।
২৪ এপ্রিল গুলশান ডিএনসিসি নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
সমঝোতা স্মারকে সাক্ষর করেন ডিএনসিসি'র সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক এবং আনহুই প্রদেশের ফরেন অ্যাফেয়ারস বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ইয়াং জায়োলিন।
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। আজকের এই চুক্তির ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এর ফলে দুই সিটির মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে। এর ফলে দুই শহর একে অপরকে অর্থনৈতিক ও কারিগরি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, পর্যটন বিষয়ে জ্ঞান বিনিময় ও সহযোগিতা করবে। দুই সিটির উত্তম কার্যক্রমগুলো শেয়ার করা হবে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনকে যেকোনো ধরণের সহযোগিতা করতে পারবে আনহুই প্রদেশ। অন্যদিকে ডিএনসিসির উত্তম কার্যক্রমগুলোও শেয়ার করতে পারবে।
মেয়র বলেন, চীন দূতাবাসের সঙ্গে ডিএনসিসি দীর্ঘদিন ধরে যৌথভাবে কাজ করছে। গত বছর চীন দূতাবাসের সহযোগিতায় বনানী কড়াইল বস্তিতে বসবাসকারী নারীদের মাঝে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। গত রমজান মাসেও চীন দূতাবাসের সহযোগিতায় মিরপুর ভাসানটেক বস্তিতে ১ হাজার পরিবারের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ডিএনসিসি’র বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্পটিও বাস্তবায়ন করছে চীনের একটি প্রতিষ্ঠান। আজকের এই নতুন চুক্তিতে ডিএনসিসি’র সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এ সময় অন্যান্যের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।