যে আইনের ধারাগুলোর স্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন ড. ইউনুস
- মামলার একটি ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ছয় মাস ও জরিমানা পাঁচ হাজার টাকা
- আরেক ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে
- পরে এক মাসের জামিন ও ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি পান ড. ইউনুস
- আসামিদের বিরুদ্ধে দুটি ধারায় শাস্তির আবেদন জানায় কলকারখানা অধিদপ্তর
শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ না দেয়া, ১০১ জন শ্রমিকের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি না দেয়া এবং শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিল ও অংশগ্রহণ তহবিল গঠন না করায় শ্রমআইনের ২৩৪ ও ২৩৬ ধারার স্পষ্ট লঙ্ঘন করায় ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয় নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে।
এই মামলার একটি ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ছয় মাস এবং জরিমানা পাঁচ হাজার টাকা। অপর একটি ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। পরে মামলার অভিযোগ আমলে নেয়ার পর তাকে এক মাসের জামিন ও ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে দুটি ধারায় শাস্তির আবেদন জানিয়েছিল কলকারখানা অধিদপ্তর।
অন্যদিকে গ্রামীণ টেলিকম থেকে শ্রমিক কর্মচারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত বছরের ৩০ মে জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ এনে ৪২০ ধারায় মামলাটি করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার।
গ্রামীণ টেলিকমের ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পেয়েই অনুসন্ধানে নামে দুদক। এরপর গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যানসহ বোর্ড সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘‘অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে পরস্পর যোগসাজসে’’ ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের সত্যতা পায় দুদক।