চট্টগ্রাম বন্দরে প্রথম বিদেশি অপারেটরের কার্যক্রম শুরু

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ০৯:৫০, মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪, ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে (পিসিটি) সৌদি আরবভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘রেড সি গেটওয়ে’র তত্ত্বাবধানে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক জাহাজ ভিড়েছে। এর মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রথমবারের মতো বিদেশি কোনো অপারেটর তাদের কার্যক্রম শুরু করলো।

সোমবার (১০ জুন) বিকেল ৩টায় বিশ্বখ্যাত শিপিং প্রতিষ্ঠান মার্কস লাইনের মালিকানাধীন এমভি ‘মায়ের্কস দাবাও’ নামে জাহাজটি পিসিটিতে ভেড়ে। এরপর রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল (আরএসজিটি) জাহাজটিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং শুরু করে।

পিসিটিতে প্রথম জাহাজের অপারেশন উপলক্ষে আরএজিটি সোমবার বিকেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, আরএসজিটি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরউইন হেইজসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, আগামী ২২ বছর পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালটি আরএসজিটি অপারেট করবে। এ অপারেশন কার্যক্রম আজ শুরু হয়েছে। পিসিটিতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রথম জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ‘ল্যান্ডলর্ড পোর্ট’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আশা করি, এভাবে বৈশ্বিক বড় বড় পার্টনারদের সঙ্গে আমরা কাজ করবো।

তিনি বলেন, দেশি বিদেশি বিনিয়োগে নতুন প্রযুক্তি এখানে আসছে, আরও আসবে। এতে প্রযুক্তিগতভাবে আমরা লাভবান হবো। তেমনি আমাদের অনেক কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হবে। এখানে কাজ করে আমাদের লোকজন দক্ষ হবে। দেশে-বিদেশে তাদের চাহিদা বেড়ে যাবে। ল্যান্ডলর্ড প্রক্রিয়ায় বন্দর চলে বিশ্বজুড়ে। আমরা পিসিটি দিয়ে সে প্রক্রিয়া শুরু করেছি।

আরএসজিটি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিউন হেইজ বলেন, বন্দরে আজ মায়ের্কস দাবাও নামের একটি জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের মাধ্যমে আমরা আত্মপ্রকাশ করেছি। আমরা পুরো কার্যক্রমে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা পেয়েছি। আশা করবো, আগামীতে সব অপারেশনে আমরা সবার সহযোগিতা পাবো।

চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে ১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের মূল অংশ থেকে ভাটির দিকে বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলী নদীর মোহনায় ড্রাইডক ও বোটক্লাবের মধ্যে ২৬ একর জায়গাজুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল। এ টার্মিনাল বছরে পাঁচ লাখ টিইইউএস (২০ ফুট সমমানের) কনটেইনার হ্যান্ডলিং করতে পারবে।

৫৮৪ মিটার লম্বা এ টার্মিনালে আছে তিনটি জেটি। এর দুটিতে আমদানি-রপ্তানি পণ্যবোঝাই কনটেইনার জাহাজ এবং ২০৪ মিটার লম্বা অপর ডলফিন জেটিতে জ্বালানি তেলবাহী জাহাজ প্রবেশ করতে পারবে। চট্টগ্রাম বন্দরে এরই মধ্যে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ প্রবেশ করে। কিন্তু পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ প্রবেশের সুযোগ পাবে।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article