১১ হাজার বর্গফুটের বিশাল ফ্লোরের মাসিক ভাড়া মাত্র ৮৩ টাকা দিচ্ছেন ড. ইউনূস!

বিশেষ প্রতিবেদক: অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীন ব্যাংক ভবনের ১১ হাজার বর্গফুটের একটি ফ্লোরের মাসিক ভাড়া ৮৩ টাকা ৩৩ পয়সা। ২৪ বছরের চুক্তিতে ভবনের ওই ফ্লোরটি ঠিক এই অংকেই ভাড়া দেওয়া হয়েছে। চুক্তিতে উল্লেখিত ভাড়াটের নাম ড. মোহাম্মাদ ইউনূস।
জানা যায়, ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত প্রচারণার প্রতিষ্ঠান 'ইউনূস সেন্টার' এর কার্যক্রমের জন্যে ২০০৮ সালের ৩ আগষ্ট থেকে ২০৩২ সাল পর্যন্ত এটি ভাড়া নেয়া হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী বছরে ১ হাজার টাকা ভাড়ায় ২৪ বছরে ভাড়া ২৪ হাজার টাকা। সে হিসেবে প্রতি মাসে ফ্লোরটির ভাড়া মাত্র ৮৩ টাকা ৩৩ পয়সা গুনছেন ড. ইউনূস।
তবে গ্রামীন ব্যাংক এর ১৬ তলা ভবনটি নিজেদের জন্য ব্যবহৃত ফ্লোরগুলি বাদে অন্য ফ্লোর সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে এবং অন্য ফ্লোরগুলির ভাড়া গড়ে ৫-১২ হাজার টাকা।
ঢাকা শহরে এই অংকে এতো বড়ো স্পেস এর অফিস ভাড়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বিষয়টি খতিয়ে দেখার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, ঢাকা শহরের ভাড়া সম্পর্কে আমার সুনির্দিষ্ট ধারণা নেই। তবে, এটা অস্বাভাবিক মনে হয়। তিনি আরো বলেন, অন্য ভাড়াটেদের সাথে অসম এই চুক্তির একটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ইউনূস সেন্টার বিশেষ কোন আবেদন করে ভাড়া কমানোর বন্দোবস্ত করে থাকতে পারেন। কিন্তু নিজে এমডি আবার নিজেই গ্রামীন ব্যাংক ভবনের ভাড়াটে হিসেবে নজীরবিহীন কম টাকায় ভাড়া নেওয়া বিষয়টি কি সরল?
উল্লেখ্য ১৯৭৬ সাল থেকে ২০১১ সালের মে পর্যন্ত গ্রামীন ব্যাংকের এমডি পদে ছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আর ইউনূস সেন্টারের মূল কাজ সামাজিক ব্যবসাসহ ইউনূসের পক্ষে যাবতীয় প্রচারণা চালানো।
সমালোচকরা বলছেন শায়েস্তা খানের আমলে টাকায় আট মন চাল পাওয়া যেত। আর এখন মিরপুরের গ্রামীন ভবনের ১৬ তলার প্রতি বর্গফুট ভাড়ায় পাওয়া গিয়েছে ০. ০ ০ ৭৫ পয়সায়। এখনও এই ভবনের দুটো ফ্লোর ভাড়ার জন্য খালি আছে। যদি কেউ পয়সার হিসেবে ভাড়া নিতে চান তার পদ্ধতি কী? জানতে হলে যোগাযোগ করতে হবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে।