রাফাহ অভিযান নিয়ে নেতানিয়াহুকে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় রাফাহ সীমান্তে ইসরায়েলি অভিযান চালাতে না করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বুধবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে এই বার্তা দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় স্থল হামলার জন্য ইসরায়েলি নেতার আহ্বানের বিরোধিতা করছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপরেই বছরের পর বছর ধরে গাজায় চলা সামরিক পদক্ষেপ জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণ হারিয়েছে ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৭৪ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ এবং অসংখ্যা বিশ্ব কর্মকর্তা রাফায় হামলার বিরোধিতা করেছেন। দশ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি শরণার্থী রাফায় আশ্রয় নিয়েছে। এদের মধ্যে অনেককে যুদ্ধের প্রথম সপ্তাহগুলোতে গাজার উত্তরাঞ্চলে তাদের বাড়িঘর থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নির্দেশ দিয়েছিল।
নেতানিয়াহু বলেন, গাজায় হামাসের নিয়ন্ত্রণ মুছে ফেলার ইসরায়েলের লক্ষ্য পূরণের জন্য এই আক্রমণ প্রয়োজনীয়। হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি-মুক্তি চুক্তি থাকুক বা না থাকুক এটি ঘটবেই, তিনি বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ব্লিংকেন ‘জোর দিয়ে বলেন, যুদ্ধবিরতির পথে হামাস বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ প্রায় সাত মাস ধরে চলা যুদ্ধ কয়েক সপ্তাহ বন্ধ রাখার একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হামাস অস্বীকৃতি জানিয়েছে। পাশাপাশি হামাস ইসরায়েলের কারাবন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে জিম্মিদের মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
তবে যুদ্ধবিরতির জন্য ব্লিংকেন হামাসকে দোষারোপ করলেও মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক নেতানিয়াহুকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় স্থল হামলার জন্য ইসরায়েলি নেতার আহ্বানের বিরোধিতা করছে।