লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১১:১০, শুক্রবার, ৮ জুলাই, ২০২২, ২৪ আষাঢ় ১৪২৯

পবিত্র হজ শুক্রবার। এদিন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন হজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। লাখ লাখ হাজির কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাক’ (অর্থাৎ আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার)।

 

বাংলাদেশের ৬০ হাজার ১৪৬ হজযাত্রীসহ সারা বিশ্ব থেকে জড়ো হওয়া ১০ লাখ মুসলমান আরাফার ময়দানে মহান আল্লাহর জিকিরসহ, কোরআন তেলাওয়াত, দোয়া ও নফল নামাজে মশগুল থাকবেন। তারা নিজ নিজ তাঁবুতে কেউ পাহাড়ের কাছে কিংবা সুবিধাজনক জায়গায় বসে ইবাদত-বন্দেগি করবেন। পাপমুক্তি, আল্লাহর সন্তুষ্টিই হলো ইবাদতের মূল লক্ষ্য।

পবিত্র হজ ইসলামের মূল পাঁচটি স্তম্ভের একটি। আর্থিক ও শারীরিকভাবে সমর্থ পুরুষ ও নারীর জন্য হজ ফরজ। আরাফার ময়দানে অবস্থান করাই হজের মূল কাজ। তাই হজ ভিসা নিয়ে যারা সৌদি আরবে গিয়ে অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাদেরও অ্যাম্বুলেন্সে করে আরাফার ময়দানে অল্প সময়ের জন্য আনা হবে।


শুক্রবার ফজরের নামাজের পর মিনা থেকে আরাফার ময়দানে যাওয়ার কথা থাকলেও রাস্তার ভিড় এড়াতে অনেক হজ এজেন্সি বৃহস্পতিবার এশার নামাজের পর থেকেই হজযাত্রীদের আরাফার ময়দানে পৌঁছে দেওয়া শুরু করে। যারা রাতে পৌঁছাননি, তারা জুমার নামাজের আগে আরাফার ময়দানে পৌঁছাবেন।

মক্কা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত দুই মাইল দৈর্ঘ্য ও দুই মাইল প্রস্থের বিরাট সমতল ময়দানের নাম আরাফা। এর তিন দিক পাহাড়বেষ্টিত। জাবাল মানে পাহাড়। জাবালে রহমত হলো রহমতের পাহাড়। এই পাহাড়ে হজরত আদম (আ.) ও হজরত হাওয়া (আ.)-এর দেখা হয়েছিল। আর হজরত মুহাম্মদ (সা.) জাবালে রহমত পাহাড়ের কাছে দাঁড়িয়ে বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। এই পাহাড়ে একটি উঁচু পিলার আছে। একে কেউ কেউ দোয়ার পাহাড়ও বলেন। আরাফার ময়দানে আর হজের খুতবার পর জুমা ও আসরের নামাজ আদায় করবেন মুসল্লিরা। আরাফার ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেওয়া হবে।

এ বছর খুতবা দেবেন শায়খ ড. মোহাম্মদ বিন আবদুল কারিম আল ঈসা। খুতবা বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করবে। আর সৌদি সরকারের উদ্যোগে আরাফার খুতবার অনুবাদ বাংলাসহ ১৪ ভাষায় সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

হাজিরা শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থানের পর মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন। রাতে সেখানে অবস্থান করবেন খোলা মাঠে। শয়তানের প্রতিকৃতিতে পাথর নিক্ষেপের জন্য প্রয়োজনীয় পাথর (৭০টি) সংগ্রহ করবেন সেখান থেকে।

মিনা, আরাফা ও মুজদালিফায় সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে সব হাজিকে বিনা মূল্যে খাবার, বিশুদ্ধ পানিসহ সব সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান হাজিদের নানা উপহার দিচ্ছে।

Share This Article