সামর্থ্যবান নারী মাহরাম না পেলে কিভাবে হজ করবেন

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:৪৬, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

প্রশ্ন: একজন নারীর হজের সামর্থ্য আছে, কিন্তু কোনো মাহরামের হজের ব্যয় বহন করার মতো সামর্থ্য নেই। তিনি নিজ খরচে হজে যাবেন এমন মাহরামও পাচ্ছেন না এমতাবস্থায় তার করণীয় কী?

উত্তর: ওই নারী মাহরামের হজের খরচ বহনের সামর্থ্যবান হওয়া অথবা নিজ খরচে হজে যাবে এমন মাহরাম পাওয়ার অপেক্ষা করবেন। যদি মৃত্যু পর্যন্ত নিজ খরচে হজে যাবে এমন মাহরাম না পান এবং নিজেও মাহরামের খরচ বহনের মতো সামর্থ্যবান না হন তাহলে মৃত্যুর আগে তার পক্ষ থেকে বদলি হজের ওসিয়ত করে যাবেন। (দুররুল মুখতার ৩/৪৬৪, আলমগীরি ১/২১৯, বাদায়ে ২/১২৩)।

‘মাহরাম’ বলতে স্বামী ছাড়াও ওইসব ব্যক্তিকে বোঝায়, যাদের সঙ্গে ওই মহিলার বিয়ে হতে পারে না। যেমন : ১) বাবা (আপন বা সৎ); ২) ভাই (আপন, বৈমাত্রেয়, বৈপিত্রেয়, দুধ ভাই); ৩) ছেলে (আপন বা সৎ); ৪) দাদা (দাদার পিতা বা তার পিতা ইত্যাদি আরও যত ওপরে যাক); ৫) নানা (নানার পিতা বা তার পিতা ইত্যাদি আরও যত ওপরে যাক); ৬) চাচা (আপন বা সৎ); ৭) মামা (আপন বা সৎ); ৮) শ্বশুর (আপন দাদা শ্বশুর, নানা শ্বশুর ও তদূর্ধ্ব); ৯) ভ্রাতুষ্পুত্র (আপন ভাইয়ের পুত্র বা বৈমাত্রেয়, বৈপিত্রেয় ভাইয়ের পুত্র); ১০) ভাগ্নে (আপন বা সৎ বোনের ছেলে); ১১) নাতি (আপন ছেলে বা মেয়ের ছেলে); ও ১২) জামাতা (মেয়ের স্বামী)।

কোনো কারণে কোনো সামর্থ্যবান নারীর স্বামী যদি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তাকে সঙ্গে নিয়ে হজে না যান, অথবা তাকে যেতে অনুমতিও না দেন তাহলে স্বামীর বিনানুমতিতেই মালদার স্ত্রীলোকের মাহরামের সঙ্গে হজে যাওয়ার অধিকার আছে। কারণ এটি ফরজ কাজ এবং এতে স্বামী বাধা দিলে তা মানা বাধ্যতামূলক নয়।

বিত্তমান নারী যে মাহরামকে তার সঙ্গে নিয়ে যাবেন, ওই ব্যক্তির সামর্থ্য না থাকলে তার সব খরচ ওই নারীকেই বহন করতে হবে। সফরসঙ্গীর সব খরচ বহন করা ওই নারীর ওপর ওয়াজিব।

যে নারীর ওপর হজ ফরজ হয়েছে তিনি যদি সারা জীবন তার সফরসঙ্গী হিসেবে কোনো মাহরাম না পান, তবে তার মৃত্যুর পর তার অর্থে বদলি হজ করিয়ে দিতে হবে। এটা করানো তার ওয়ারিশগণের জন্য ওয়াজিব। কোনো নারী ইদ্দতের অবস্থায় থাকলে তার জন্য হজ করা নিষিদ্ধ।

Share This Article