বিয়ের দাবিতে ভাগনের বাড়িতে মামির অনশন

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ রাত ০৮:৫২, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০২২, ১৬ আষাঢ় ১৪২৯
ফাইল ফটো
ফাইল ফটো

চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে বিয়ের দাবিতে ভাগনের বাড়িতে অনশন করেছেন মামি সীমা আক্তার।

 

বুধবার উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউপির হাওয়াকান্দি ভাগিনার বাড়িতে ঐ নারীকে অনশন অবস্থায় দেখা যায়।সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, গোবিন্দপুর উত্তর ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ড চরমথুরা গ্রামের দেওয়ান বাড়ির মেয়ে সীমা আক্তার এবং পার্শ্ববর্তী গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউপির আনোয়ার হোসেন মানিকের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা পরস্পর মামি-ভাগনে হওয়ার কারণে অবাধ মেলামেশা করলেও সমাজের লোকজন তেমন কিছু মনে করেনি।

মামা বিল্লাল হোসেন পেশায় একজন প্রবাসী। দেশের বাইরে থাকতেন মামা বিল্লাল। মামার অনুপস্থিতিতে মামির সঙ্গে সময় কাটাতো ভাগনে মানিক। এভাবেই মামি- ভাগনের প্রেম কাহিনী শুরু হয়।

জানা যায়, ২০০৯ সালে সীমা আক্তারের সঙ্গে বিল্লাল হোসেন বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। তারপর থেকে আনোয়ার হোসেন মানিক মামার বাড়ি প্রতিনিয়ত যাওয়া আসা করতেন। সেই সুযোগে মানিক সুকৌশলে সীমা আক্তারের বিভিন্ন ছবি মোবাইলে ধারণ করে সীমা আক্তারকে ব্লাক মেইল করতে থাকে।

এক পর্যায়ে মানিকের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়। একপর্যায়ে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। পরবর্তীতে মানিক সীমাকে বিয়ে করার কথা থাকলেও সে বিদেশে পাড়ি জমায়। মানিক চার বছরেও ফিরে না আসায় পরিবারের চাপে সীমা গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউপির রামপুর গ্রামের ঢাকায় বাসিন্দা এনামুল হকের সঙ্গে বিয়ে হয়। মানিক সেখানেও সীমার দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তার দ্বিতীয় সংসার ভেঙে যায়।

এদিকে মানিক প্রবাসে থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোনে বিয়ে হয় সীমা জানান। অনশনকারী সীমা বলেন, মানিক আমাকে ঘরে তুলে না নিলে আমি আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেবো। সে আমাকে অনেকবার স্ত্রীর মতো ব্যবহার করেছে।

আনোয়ার হোসেন মানিক জানান, আমি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি না।  গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টি মাত্র জেনেছি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

ফরিদগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত)  প্রদীপ মন্ডল জানান, সীমা আক্তার ৯৯৯ কল করেছেন। তাদের একটা মামলা ও চলমান। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ভূঁইয়াকে দায়িত্ব প্রদান করেছি, বিষয়টা সমাধান করার জন্য।

বিষয়ঃ পরকীয়া

Share This Article