পদ্মা সেতু বদলে দিবে দেশের পোশাক খাতের চিত্র

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ০৯:৪৮, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০২২, ১৬ আষাঢ় ১৪২৯

১৯৭৭ সালে কালুরঘাটে ‘দেশ গার্মেন্টস’র হাত ধরেই চট্টগ্রামে রফতানিমুখী গার্মেন্টসের জন্ম। বর্তমানে এ শিল্পখাতের বেশিরভাগ কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বৃহত্তর ঢাকা, শহরতলী বা এর আশপাশ, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জে। শিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনা আটকে আছে একই গণ্ডিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে দেশের সবচেয়ে বড় খাত গার্মেন্টসকে দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে দেওয়া গেলে পাল্টে যাবে দেশের অর্থনীতির চিত্র। সে পথ উন্মুক্ত করতে পারে পদ্মা সেতু।

পদ্মা সেতুর সুবাদে উপকৃত হবে দেশের অন্তত ১৯টি জেলার মানুষ। আর পরোক্ষভাবে মোট ২৯টি জেলার মানুষ বিভিন্নভাবে সুফল ও লাভবান হতে পারবে।এসব জেলা-উপজেলার সঙ্গে রাজধানীসহ দেশের মূল অংশের সরাসরি বৈপ্লবিক ও যুগান্তকারী যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। তুলনামূলক বেশি পিছিয়ে থাকা জেলা-উপজেলা-জনপদসমূহের আপামর জনসাধারণের ভাগ্য বদলে দিতে পারে এ সেতু। এখন প্রয়োজন সম্ভাবনার পরিকল্পিত ও সময়োচিত সদ্ব্যবহার।

পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল বিশাল অর্থনৈতিক করিডোরে পরিণত হতে চলেছে বলে মনে করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. মইনুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ অঞ্চলে মজুরি কম থাকার সুবাদে গার্মেন্টসহ বিভিন্ন শিল্প-কারখানার প্রসার ঘটবে। এসব জেলা থেকে অত্যন্ত সহজে ও কম সময়ে পণ্য রফতানির জন্য মংলা সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে লিংক পাবে।

আর গার্মেন্টস শিল্প মালিক ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরই গার্মেন্টস শিল্পসহ শ্রমঘন শিল্প খাতের জন্য সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে। পদ্মা সেতুর ওপারে শিল্প স্থাপনের উপযোগী জমি ও সস্তায় শ্রমিক পাওয়া যাবে। সেখানে পর্যাপ্ত গ্যাস ও বিদ্যুৎসহ অবকাঠোমো সুবিধা নিশ্চিত করা হলে শ্রমঘন শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে। পদ্মার ওপারে গার্মেন্টসহ শ্রমঘন শিল্প-কারখানা দেশের জিডিপি হার বৃদ্ধিতে অনন্য ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।

বিষয়ঃ উন্নয়ন

Share This Article