তিস্তায় পানি বেড়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:০৭, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০২২, ১৬ আষাঢ় ১৪২৯

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদীর পানি আবারও বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

 

উজান থেকে নেমে আসা পানি, পাহাড়ি ঢল ও গত কয়েক দিনের অনবরত বৃষ্টিপাত এই নদীর পানি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এদিকে, ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বুধবার (২৯ জুন) তিস্তা তীরবর্তী এসব এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, হু হু করে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তিস্তা নদী কবলিত চর এলাকার লোকজন হাঁস, মুরগি, গরু ছাগলসহ গবাদিপশু নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটছে।

এবারের বন্যায় গত কয়েকদিন ধরে পানি উঠানামা করছে। উপজেলার ১২ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এদিকে, পানির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।

গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত থেকে তিস্তার পানি হু হু করে বাড়তে থাকায় আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন তিস্তা তীরবর্তী গ্রামগুলোর মানুষ।’

হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলাম শাহ্ জানান, হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী ৯ ইউনিয়নের প্রায় ১২ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এবারে দু’দফায় ১৪ হাজার ৩০০ পরিবারকে জনপ্রতি ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। আবারও তালিকা তৈরি করে জেলা ত্রাণ দপ্তরে পাঠানো হচ্ছে।

পাউবির নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ দৌলা জানান, গত কয়েক দিনে তিস্তা নদীর পানি উঠানামা করছে। বুধবার তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজির হোসেন বলেন, ‘নদীর পাড়ের মানুষের সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া রয়েছে।’

Share This Article