বৈধ আয়ে কর ৩০%, কালো টাকায় ১৫% কেন
![বৈধ আয়ে কর ৩০%, কালো টাকায় ১৫% কেন](/Uploads/Images/News/2024/6/Image-24628-20240609153622.webp)
- সমাজে কালো টাকার দৌরাত্ম্য বেড়েছে
- দেশের ব্যাংকগুলো থেকে নগদ টাকা তোলার চাপ বেড়েই চলছে
- ইস্যুকৃত নোটের পরিমাণ বাড়িয়ে চলছে বাংলাদেশ ব্যাংক
- সিংহভাগ অর্থ ব্যাংকের বাইরে চলে গেছে
- ব্যবসায়ীসহ প্রভাবশালীরা নগদ অর্থ ঘরে স্তূপ করছেন
গত ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছে সরকার। এতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকা নিয়ে যেমন সমালোচনা চলছে, তেমনই করের পরিমাণ নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে তৈরি হয়েছে কৌতুহল। সাধারণভাবে বৈধ আয়ের ওপর কর ৩০ শতাংশ হলেও কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত আয়কে বৈধ করতে কর ধার্য করা হয়েছে ১৫ শতাংশ।
তথ্য বলছে, সমাজে কালো টাকার দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ায় অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতির আকারও দ্রুত বড় হচ্ছে। এ কারণে দেশের ব্যাংকগুলো থেকে নগদ টাকা তোলার চাপ বেড়েই চলছে। চাপ সামলাতে প্রতিনিয়ত ইস্যুকৃত নোটের পরিমাণ বাড়িয়ে চলছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই মধ্যে সিংহভাগ অর্থ ব্যাংকের বাইরে চলে গেছে।
এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামী অর্থবছরে রাজস্ব বাড়াতে বৈধ আয়ের করের চেয়ে অবৈধ আয়ের কর কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কর কম হলে ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন বাড়বে, অর্থ ঘরে অলস পড়ে থাকবে না।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারি কর্মচারী, রাজনীতিক, ব্যবসায়ীসহ প্রভাবশালীরা নগদ অর্থ ঘরে স্তূপ করে রাখছেন। তারা নগদ টাকা দিয়েই কোটি কোটি টাকার লেনদেন করছেন। তাতে ব্যাংকে নগদ অর্থের টান পড়েছে। বাজেটে কালো টাকা সাদা করার যে সুযোগ দেয়া হয়েছে তাতে ইতিবাচক ফল আসবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রত্যেক সরকারই দিয়েছে। অতীতে বিএনপি-জাতীয় পার্টি এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারও এই সুযোগ দিয়েছিল। অর্থনীতি চাঙ্গা করার স্বার্থে বর্তমান সরকারও এই সুযোগ দিয়েছে। এতে তো দোষের কিছু না। এর মাধ্যমে ঘরে স্তূপ করে রাখা নগদ টাকা ব্যাংকে আসবে, তাতে তারল্য বাড়ার পাশাপাশি জিনিসপত্রের দামও কমবে বলে মনে করেন তারা।