পাহাড়ি ঢলে আখাউড়া প্লাবিত, হু হু করে ঢুকছে পানি

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ০৯:২২, শনিবার, ১৮ জুন, ২০২২, ৪ আষাঢ় ১৪২৯

টানা ভারি বর্ষণ ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

আকস্মিক এ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে নানা ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রশাসন সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল থেকে টানা ভারি বৃষ্টি ও ত্রিপুরার উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী দুটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। ফলে উজানের ঢলের এ পানিতে গ্রামীন রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে।

কৃষকের সবজি ক্ষেত, ফসলি রোপা ধানের জমিসহ ঢলের পানিতে পুকুর তলিয়ে ভেসে গেছে মাছ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অনেক পরিবার।

অতিবৃষ্টির কারণে শুক্রবার রাত থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি অস্বাভাবিক ভাবে বাড়তে থাকে। ওপারের পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার সীমান্তবর্তী চারটি ইউনিয়নের মধ্যে মোগড়া ও দক্ষিণ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট কার্যালয় ও কাস্টমস হাউজ।

এদিকে আখাউড়া - আগরতলা সড়কের বন্দর এলাকায় কিছু অংশে পানি উঠেছে। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকায় সিএন্ডএফ এজেন্ট ও আমদানি আমদানি-রপ্তানিকারক বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, আখাউড়া উপজেলার হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে এবং স্থলবন্দর এলাকার পাস দিয়ে বয়ে চলা কালন্দি খালটি দিয়ে ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানি হু হু করে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।

এতে করে উপজেলার সীমান্তঘেঁষা মোগড়া ইউনিয়ন ও দক্ষিণ ইউনিয়নের আখাউড়া-আগরতলা সড়কের দুপাশের কালিকাপুর, বীরচন্দ্রপুর, আবদুল্লাহপুর, বঙ্গেরচর, রহিমপুর, সাহেবনগর, খলাপাড়া, উমেদপুর, সেনারবাদী, কুসুমবাড়ি, আওরারচর, ছয়ঘরিয়া, বাউতলা, দরুইন, বচিয়ারা, নোয়াপাড়া, নিলাখাত, টানুয়াপাড়া, ধাতুর পহেলা, চরনারায়নপুর ও আদমপুরসহ ত্রিপুরার পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার মনিয়ন্দ ও ধরখার ইউনিয়নের ভাটামাথা, চন্দ্রপুর, ধরখার গ্রাম, ভিনাউটি, ভবানীপুর, রুটি, খারকুট, মিনারকুট, কুড়িবিল, পদ্মবিল, টনকি, ইটনা, কর্নেল বাজারের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অগ্যজাই মারমা বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে নানা ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে। বন্যা দুর্গতদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আকস্মিক এ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের খোঁজ খবর নিতেও শুরু করেছেন স্থানীয় প্রশাসন। 

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article