এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ঋণের কিস্তি পরিশোধে ‘ডিফোল্ডার’ হয়নি : বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:৪৯, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩০

পদ্মাসেতু থেকে টোল বাবদ প্রতিদিন যে অর্থ আসছে, বছর ঘুরলে সেই অর্থ আবার ঋণ পরিশোধে ব্যয় হচ্ছে। আর এই কৌশলের জন্যই সংকটের মধ্যেও প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ঋণ পরিশোধ দুই সম্ভব হচ্ছে।

 


 

বিশ্ব অর্থনীতিতে সংকটের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যানা বেজার্ড। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশের সমসাময়িক ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চলমান প্রকল্প নিয়ে বৈঠককালে এ কথা বলেন তিনি।

অ্যানা বেজার্ড বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে সহায়তাকারী প্রথম উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে বিশ্বব্যাংক ছিল অন্যতম। দেশ স্বাধীনের পর বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে ৪১ বিলিয়নের বেশি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ ঋণের বেশিরভাগই অনুদান বা রেয়াতি ঋণ, যা নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধ করতে হয়।

আশার কথা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ঋণের কিস্তি পরিশোধে ডিফোল্ডার হয়নি। এমনকি যুদ্ধ-বিগ্রহের কারণে বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতি তীব্র সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ব্যতীক্রম নয় বাংলাদেশও। কিন্তু এরপরেও উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দৃশ্যমান হচ্ছে। সঠিক সময়ে ঋণও পরিশোধ করছে।  

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের বেশির ভাগ উন্নয়নপ্রকল্পগুলো করা হচ্ছে বিদেশি ঋণ নিয়ে। আবার যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে, সেখান থেকে আবার রিটার্নও আসছে। যেমন পদ্মাসেতু থেকে টোল বাবদ প্রতিদিন যে অর্থ আসছে, বছর ঘুরলে সেই অর্থ আবার ঋণ পরিশোধে ব্যয় হচ্ছে। আর এই কৌশলের জন্যই সংকটের মধ্যেও প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ঋণ পরিশোধ দুই সম্ভব হচ্ছে।

Share This Article