রেমিট্যান্স হ্রাস : একটি কৃত্রিম সংকট!
![রেমিট্যান্স হ্রাস : একটি কৃত্রিম সংকট!](/Uploads/Images/News/2023/10/Image-17039-20231023063357.webp)
রেমিট্যান্স প্রবাহ কমার পেছনে হাত রয়েছে বিএনপি-জামায়াতের। বিষয়টি হাস্যকর মনে হলেও তথসূত্র বলছে, সরকারকে বিপদে ফেলতে তারাই এ ষড়যন্ত্র করছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেলে সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে যেতে পারে। এর ফলে কর্মসংস্থান ও জীবনযাত্রার মানও কমে যেতে পারে। আর এই সুযোগটিকেই কাজে লাগাতে চাইছে বিএনপি-জামায়াত।
জনশক্তি রপ্তানি বাড়লেও ধীরে ধীরে কমছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। তথ্য বলছে, গত ৪১ মাসে সর্বনিম্ন ১.৫৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল সেপ্টেম্বর মাসে। অথচ ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের বাইরে গেছেন রেকর্ড ১১.৩ লাখ কর্মী।
এদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে নিত্য নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে ব্যাংকগুলো। বিভিন্ন প্রণোদনার পাশাপাশি বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের উৎসাহ দিচ্ছে সরকার। নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে হুন্ডির দৌরাত্মও। কিন্তু তারপরেও বাড়ানো যাচ্ছে না রেমিট্যান্স।
সূত্রমতে, রেমিট্যান্স প্রবাহ কমার পেছনে হাত রয়েছে বিএনপি-জামায়াতের। বিষয়টি হাস্যকর মনে হলেও তথসূত্র বলছে, সরকারকে বিপদে ফেলতে তারাই এ ষড়যন্ত্র করছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেলে সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে যেতে পারে। এর ফলে কর্মসংস্থান ও জীবনযাত্রার মানও কমে যেতে পারে। আর এই সুযোগটিকেই কাজে লাগাতে চাইছে বিএনপি-জামায়াত।
জানা গেছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ ও আন্দোলনের পরে সরকারকে বিপদে ফেলতে প্রথমে জামায়াতের পক্ষ থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স না পাঠাতে কর্মীদের আহবান জানানো হয়েছিল। এখন যুক্ত হয়েছে বিএনপি। বিশেষ করে ১০ ডিসেম্বর আন্দোলনে প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স না পাঠানোর আহবান জানানো হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বাঁশের কেল্লা পেজ থেকে বিএনপি-জামায়াত যৌথভাবে এই আহবান জানায়। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে সবাই হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠায়। আর এখানেই রেমিট্যান্স না বাড়ার রহস্য লুকিয়ে আছে।
সূত্রমতে, যেসব দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে, তার অধিকাংশই জামায়াতপন্থী হুন্ডি ব্যবসায়ীদের দখলে। সৌদি আবর, মালোয়েশিয়া, কাতার, ওমান, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রগুলো থেকে যে রেমিট্যান্স আসে তা প্রথমে তাদের হাতে যায়। বলা চলে, পঞ্চাশ শতাংশের বেশি রেমিট্যান্স আসে হুন্ডিতে। এখন বিএনপি যুক্ত হওয়ায় এর পরিমাণ আরও বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবে এতে রেমিট্যান্সে টান পড়ছে। রিজার্ভ কমার পাশাপাশি ডলার সংকটও বাড়ছে।