সংকট কাটছে দেশের ই-কমার্সে

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:৫০, বুধবার, ১৫ জুন, ২০২২, ১ আষাঢ় ১৪২৯

আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সংকটের আবর্তে পড়া দেশের ই-কমার্স খাত। আলোচিত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পণ্য কিনে যারা পণ্য কিংবা টাকা ফেরত পায়নি, তাদের টাকা ফেরত দেওয়া শুরু হয়েছে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তথ্য বলছে, গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়েতে ২৫টি ই-কমার্সের ৫৫৯ কোটি ৫২ লাখ ৭২ হাজার ৩০৪ টাকা জমা ছিল। এই টাকাগুলো গ্রাহকরা বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করার পর পরিশোধ করেছিল।

২৪ জানুয়ারি থেকে ৯ জুন পর্যন্ত ৯৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা গ্রাহকদের ফেরত দিয়েছে কিউকম। প্রথম দিন কিউকমের ২০ গ্রাহককে ৪০ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হয়। এ ছাড়া আরো ১২টি প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও ই-ক্যাবের তথ্য বলছে, গত তিন বছরে গড়ে ৩০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে ই-কমার্স খাত। স্থানীয় বাজারের বর্তমান আকার প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা, যা ২০২৫ সাল নাগাদ ২৪ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, বর্তমানে দেশে আড়াই হাজার ই-কমার্স সাইট আছে। ই-কমার্স আয়ের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে ৪৬তম। বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট থেকে মার্চ মাসে ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটা হয়েছে প্রায় ৯০৮ কোটি টাকার পণ্য।

শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় এক্সক্রো, ইউনিক বিজনেস আইডিসহ বেশ কিছু পদ্ধতিগত পরিবর্তন পেয়েছেন এই খাতের উদ্যোক্তারা। ই-কমার্স খাতের অনিয়ম রোধে সরকারি সংস্থাগুলোর বেশ কিছু উদ্যোগের কারণেই ঘুরে দাড়াচ্ছে এই খাত।

বহু মানুষ পণ্য পরিবহন ও সংরক্ষণ, বিপণন এবং ক্রেতাদের কাছে পণ্য পৌঁছে দেওয়া সংশ্লিষ্ট পেশায় যুক্ত হয়ে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন বলে জানান এই ই-কমার্স উদ্যোক্তা।

Share This Article