হুন্ডিতে টাকা প্রেরণ: যে সমস্যায় পড়ে দেশ ও প্রবাসীরা

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:৩৩, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০২২, ১৩ শ্রাবণ ১৪২৯

করোনা মহামারির পর হুন্ডির বেড়াজালে আটকে পড়েছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। হুন্ডিবাজদের তৎপর হওয়ায় রেমিট্যান্সের একটি বড় অংশ বৈধ পথে আসছে না। ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাচ্ছে। এতে চাপ বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনায়।

এক সময় হুন্ডি পদ্ধতির ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলেও আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় হুন্ডি একটি অবৈধ পন্থা ও  রেমিট্যান্স ধ্বংসকারী পদ্ধতি। এটি বাণিজ্যিক বা ঋণ সংশ্লিষ্ট লেনদেনের অলিখিত ও শর্তহীন দলিল। ব্যাংকিং নিয়ম অনুসরণ না করার ফলে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয় সরকার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি অপরাধ।এটি একটি দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ড।

বৈধ উপার্জন অবৈধ হিসাবে রূপান্তর, প্রবাসীরা রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়া,প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হওয়া, অর্থ পাঠানা ও অর্থ প্রাপ্তি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া, ব্যাংকিং সুবিধা বা বিনিয়োগ পাওয়া না পাওয়া ছাড়াও হুন্ডির ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পায়।

হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করলে নিজের ও দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুই দেশের হিসাবে গড়মিল হয় বলে সম্পর্কে ফাটল ধরতে থাকে। তাছাড়া অবৈধ টাকার মালিকরা প্রবাসীদের টাকা বিদেশে রেখে সম্পদ পাচার করার সুযোগ পেয়ে যায়।

গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর গড়ে ৭০ হাজার কোটি টাকার হুন্ডির মাধ্যমে পাচার হয়। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠালে রিজার্ভে যোগ হতো।

তাই দেশ ও নিজের ক্ষতি না করে কোনো অবৈধ ও অননুমোদিত উপায়ে পরিবারের কাছে অর্থ না পাঠিয়ে সচেতন হয়ে বৈধ উপায়ে অর্থ লেনদেন করাই সর্বোত্তম উপায় বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রবাসীরা যাতে হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা না পাঠায়, সে বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করারও নির্দেশ প্রদান করেন।

Share This Article